BRAKING NEWS

বর্ষা আসতে শুরু করতেই রাজ্যের প্রত্যন্তে থাবা বসাচ্ছে ডায়রিয়া

dairreah৷৷গয়া চন্দ্র সূত্রধর৷৷
তেলিয়ামুড়া, ৩১ মার্চ৷৷ বৃষ্টির শুরুতে প্রত্যন্ত জনপদে ডায়রিয়ার প্রার্দুভাব দেখা দিয়েছে৷ ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে রিয়াং জন জাতির তিন জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷ আর স্থানীয় ব্লক প্রশাসন থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য দফতরের কর্মকর্তারা কুম্ভনিদ্রায়৷ রিয়াং জন জাতিদের পল্লী গুলিতে সচেতনতা শিবিরও বন্ধ হয়ে রয়েছে দীর্ঘ দিন ধরে৷ মুঙ্গিয়াকামী ব্লকের অধীনে হাজরা পাড়া৷ রিয়াং জন জাতি মানুষের বসবাস এই হাজরা পাড়াতে৷ এরা জুমচাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে৷ বৃষ্টি শুরু হতেই প্রত্যন্ত এলাকা গুলিতে ডাইরিয়া রোগের প্রার্দুভাব দেখা দিয়েছে৷ এই রোগে আক্রান্ত হয়ে ঝজিরুং রিয়াং (৪৫), অমিরুং রিয়াং (৫০), শচীরুং রিয়াং (৩৫) চিকিৎসাধীন তেলিয়ামুড়া গ্রামীণ হাসপাতালে৷ তারা অভিযোগ করে জানান মুঙ্গিয়াকামী ব্লকের অধীনে হাজরা পাড়াতে দীর্ঘ এক বছর ধরে কোনো প্রশাসনিক শিবির করা হয়নি প্রশাসনের পক্ষ থেকে৷ এলাকা গুলিতে দীর্ঘ বছর ধরে পানীয় জলের সংকট চলছিল৷ বসবাসরত রিয়াং উপজাতি গিরিবাসীরা ছড়ার অপরিশোধিত জল তাদের একমাত্র পানীয় জলের ভরসা৷ যার ফলে এলাকার ডাইরিয়া রোগের প্রার্দুভাব দেখা দিয়েছে৷ অভিযোগ এলাকার উদর ঘটিত রোগের প্রার্দুভাব দেখা দিলেও মুঙ্গিয়াকামী ব্লক প্রশাসন কুম্ভনিদ্রায়৷ জানা গেছে এই ব্লকের অধীনে বৃদ্ধি হাম পাড়া, কর্ন রাম পাড়া, নোনাছড়া এবং হাজরা পাড়া এলাকাগুলি ডায়রিয়া রোগের প্রার্দুভাব দেখা দিয়েছে৷ এই রোগে আক্রান্ত  হয়ে নিজ নিজ ঘরেই কাতরাছে৷ টাকার অভাবে তারা চিকিৎসা পরিষেবা ও নিতে পারছেনা বলে জানায় উপজাতিরা৷ এলাকাবাসীরা জানায় অতিসত্বর ওই এলাকাগুলিতে স্বাস্থ্য শিবির করার জন্য৷ নতুবা অন্যদিকে পরিস্থিতি ধাবিত হতে পারে বলে আশংকা৷
উল্লেখ্য, রাজ্যে প্রতিবছরই প্রত্যন্ত এলাকায় ডায়রিয়া থাবা বসায়৷ এর জন্য বিশেষভাবে দায়ী পরিশ্রুত পানীয় জলের অভাব৷ পাহাড়ী জনপদে এর প্রভাবে বহু মানুষ প্রতিবছর ভোগেন৷ উপজাতি মহল্লায়, অনেকে আবার ঝার ফুকরের সাহায্যে এই রোগের চিকিৎসা করতে গিয়ে মৃত্যুর মুখে চলে যায়৷ ফলে এই রোগ নিয়ে সঠিক সচেতনতা বৃদ্ধি করা গেলে বহু মানুষ এর কবলে পড়বে৷ সঠিক প্রশাসনিক উদ্যোগ এক্ষেত্রে বিশেষভাবে জরুরী৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *