নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৮ ফেব্রুয়ারি৷৷ প্রথমাকে রেখে দ্বিতীয়কে, দ্বিতীয়কে রেখে তৃতীয়কে পরপর বিয়ে করে, প্রতারণার দায়ে গ্রেপ্তার হল এক যুবক৷ ঘটনা কমলপুর মহকুমা বিমল সিংহ মেমোরিয়াল হাসপাতালের সামনে৷ ঘটনার বিবরণে জানা যায় মহকুমা কুচাইনালা পঞ্চায়েতের হরেন্দ্র মালাকারে ছেলে বিজয় মালাকার পেশায় একজন জীপ
চালক৷ বিজয় বছর দুয়েক আগে সানাইয়া রিয়াং বস্তির মনসিরুং রিয়াং নাসে এক উপজাতি রমলিকে বিয়ে করে৷ তাদের দেড় বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে৷ প্রথমাকে না জানিয়ে বিজয় কুলাই পলিছুড়া গ্রামে কৃষ্ণধন বিশ্বাসের মেয়ে মন্দিরা বিশ্বাসকে বিয়ে করে বছর তিনেক আগে তাদের ও একটি কন্যা সন্তান রয়েছে৷ প্রথমা স্ত্রী মনসুর অভিযোগ কারনে বিজয়ের দ্বিতীয় বিয়ের কথা সে জানতে পারয়া তাকে তরা বাপের বাড়ীতে পাটিয়ে দেয়৷ এনিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে প্রচন্ড ঝগড়া ও হয়৷ বিজয় দ্বিতীয় বিয়ের কথা অস্বীকার করে৷ রবিবার সকালে ঘটনার নাকটীয় মোড় নেয় কমলপুর হাসপাতালে৷ ঐদিন বিজয় দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতলে ভর্তি করে৷ প্রথমা স্ত্রী মুনসুর রউও বিমল সিংহ মেমোরিয়াল হাসপাতালে আসে তার অসুস্থ কাকাকে দেখার জন্য৷ হাসপাতালের মধ্যে দুইবোনের মুখোমুখি হয়৷ বিজয়কে চেঁপে ধরে মনসুর সে জানতে চায় ঐ মহিলা কে? দ্বিতীয় স্ত্রী মন্দিরা জানায় বিজয় তার স্বামী এনিয়ে হাসপাতালের সামনে দুই স্ত্রী সমেত বিজয় ঝগড়ায় বেঁধে যায়৷ হাসপাতাল সংলগ্ণ এলাকার লোকজন ছুটে এসে বিজয়কে পাকড়াও করে পুলিশে খবর দেয়৷ মুহূর্তের মধ্যে খবর আসে বিজয়ের আরেকজন স্ত্রী রয়েছে৷ উত্তেজিত লোকজন বিজয়কে চেপে ধরে৷ বিজয় তিন স্ত্রীর কথা অস্বীকার করে৷ শুধু মন্দিরার কথা স্বীকার করে৷ প্রথমা স্ত্রী মনসুর বিয়ের প্রমাণ পত্র পুলিশে দেখায় ফলে বিজয় প্রতারক হিসেবে প্রমাণিত হয়৷ কমলপুর থানার এসআই স্বপন বর্মণ বিজয় প্রতারককে থানায় নিয়ে যায়৷
2016-02-29

