রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে মাতৃভাষা দিবস পালিত

Bhasaনিজস্ব প্রতিনিধি, অমরপুর, ২১ ফেব্রুয়ারি৷৷ একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের জনগণের গৌরবোজ্জ্বল একটি দিন৷ এটি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃদিবস হিসেবেও সুপরিচিত৷
১৯৫২ সালের এদিনে বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলনরত কলেজ ছাত্রদের উপর পুলিশের গুলিবর্ষণ কয়েকজন তরুণ নিহত হয় এবং আহতও হয়৷ কলেজের ছাত্রদের পক্ষ থেকেই প্রথমভাষা আন্দোলন শুরু হয়৷ আর এই পরিপ্রেক্ষিতে সাব্রুম মাইকেল মধুসূদন দত্ত কলেজ এর ছাত্রছাত্রীরা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করে এই প্রথমবার৷ একে কেন্দ্র করে হয় আলোচনা ও নাচ গান৷ আলোচনা করেন সাব্রুমের বিশিষ্ট সাহিত্যিক অশোক নন্দ রায় বর্ধন, কলেজের অধ্যাপিকা শতরুপা চক্রবর্তী এবং অধ্যাপক সুবীর বসাক প্রমুখরা৷
কলেজের ছাত্রছাত্রীরা গান ও নৃত্য পরিবেশন করে এই দিনটিকে পালিত করে৷
২১ শে ফেব্রুয়ারি তো বর্তমানে বাংলাদেশের লোকেরাই পালন করছেন তা নয়, এখন আমাদের ছোট্ট রাজ্য ত্রিপুরাতেও বিশাল উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে অমর একুশে উদযাপিত হয়৷ বক্সনগর আর ডি ব্লকের অধীনে রহিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে আওতাধীন রহিমপুর দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গণে মূল অনুষ্ঠানটি ২০০৭ সালে শুরু হয় এবার ও তার ব্যতিক্রম হয়নি৷ আজ প্রভাত ফেরীর মাধ্যমে রহিমপুর সীমান্তবর্তী গ্রামের বিভিন্ন রাস্তা পরিক্রমা করে তার কাটা ঘেঁষে যাওয়া শুভ র্যালিটি সুকল মাঠে এসে জড়ো হয়৷ শুভ সূচনা করেন মাননীয় মন্ত্রী সহিদ চৌধুরী৷ তারপর শহীদ স্মৃতির উদ্দেশ্যে মালা ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করে৷ আজকের মহতি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ থেকে আগত ভারত-বাংলা মৈত্রী সাংসৃকতিক সংসদ এর সভাপতি শেফাল মজুমদার, আয়েশা খাতুন , আবুল কালেম, কুমিল্লা সাংসৃকতিক সংসদের সভাপতি৷ তাছাড়া জেসমিন আক্তার, সেলিম মিয়া, উপ প্রধান এবং গ্রাম প্রধান অর্পণা দাস জেলাপরিষদ সদস্য তপন বিকাশ পাল৷ জেসমিন আক্তার ব্লক চেয়ারম্যান এরকত সালাম, জববর, রফিক তাদের স্মরণ করার দিন ও আজ যাকে কেন্দ্র করিয়া পরে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করেন৷
২১ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা দিবস৷ প্রতিবছরের ন্যায় এবারও কমলপুর মহকুমায় যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনটি পালিত হয়৷
দুর্বার সামাজিক সংস্থা আয়োজিত মূল অনুুষ্ঠানটি হয় মহকুমা সীমান্তবর্তী গ্রাম মোহনপুর এলাকায়৷ কাস্টম অফিসের সামনে সেখানে দুর্বার সামাজিক ও সাংসৃকতিক সংস্থার শিল্পীরা ভাষা দিবস উপলক্ষ্যে নাচ, গান, আবৃত্তি পরিবেশন করে৷ তাছাড়া ঐদিন সকালে সংস্থার পক্ষ থেকে মহকুমা বিভিন্ন প্রান্তে ট্যাবলুর মধ্য নাচ, গান আবৃত্তি পরিবেশন করে৷ প্রসঙ্গত ১৯৯২ সালে ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলাভাষা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসাবে স্বীকৃত পাওয়ার পর সমগ্র মহকুমাজুড়ে দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবস হিসেবে পালন হয়ে আসছিল৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *