নিজস্ব প্রতিনিধি, খোয়াই, ১৪ ফেব্রুয়ারি৷৷ আমরা বাঙালী খোয়াই জেলা সম্মেলনের জন্য পূর্ব রামচন্দ্র ঘাট পঞ্চায়েতের রসরাজনগর কমিউনিটি হল ঘরের ভাড়া আদায় করে পঞ্চায়েত কতৃপক্ষ সম্মেলনের দিনে হল ঘর ব্যবহার করতে দেয়নি৷ আর এই ঘটনায় রামচন্দ্র ঘাট এলাকায় আমরা বাঙালী দলের নেতা ও কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়৷ দলের ক্ষুব্ধ কর্মী সদস্যদের নিয়ন্ত্রণ করতে ছুটে আসে পুলিশ৷ ঘটনার বিবরণে আমরা বাঙালী দলের রাজ্য প্রচার সচিব তথা আইন জীবি গৌতম গোষ জানান, পূর্ব রামচন্দ্রঘাট পঞ্চায়েত থেকে গত ১০ ই ফেব্রুয়ারী ঐ এলাকার একটি কমিউনিটি হল ঘর একদিনের জন্য ভাড়া নেন আমরা বাঙালীদল৷ রবিবার সকাল ন’টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত ঐ হল ঘরে তাদের দলীয় জেলা সম্মেলন হওয়ার কথা৷
আজ যথারীতি খোয়াই জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দলীয় কর্মী ও নেতারা ঐ হল ঘর প্রাঙ্গনে এসে জরো হয়৷ সম্মেলনে আগরতলা থেকেও একাধিক রাজ্য নেতা আসেন৷ সকাল ন’টায় ঐ কমিউনিটি হল ঘর খুলে দেওয়ার কথা দিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত এর প্রধান পার্থ সরকার গা ঢাকা দিয়ে থাকেন৷ সকাল দশটা বেজে যাওয়ার পরও হল ঘর না খুলবে দলীয় কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে পূর্ব রামচন্দ্র ঘাট পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে৷ এক সময় তারা এই প্রতারণার জন্য রাস্তা অবরোধের সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়৷ খবর যায় থানায়৷ আসে পুলিশ৷ পরে পুলিশ গা ঢাকা দিয়ে থাকা প্রধানকে খুঁজে বের করে এই প্রতারনার বিষয়ে জানতে চাইলে, প্রধান জানায় ঐ হল ঘরে দশ দিন ধরে সারাই এর কাজ চলছে তাই ঘর দেওয়া যাবে না৷ প্রধানের বক্তব্য শুনার পর আমরা বাঙালী দলের নেতারা ৪২৮৫৪৮ নং এর মানি রসিদ প্রধানের সামনে তুলে ধরে জানতে চান দশ দিন ধরে এই ঘরে শ্রমিকরা কাজ করতে থাকলে স্থানীয় পঞ্চায়েত কতৃপক্ষ ঘরের ভাড়া নিয়ে রসিদ দেয় কি ভাবে৷ পরে জেলা সম্মেলন বাতিল করে আমরা বাঙালী দল ঐ হল ঘরের সামনে একটি বিক্ষোভ সভা করে৷ বিক্ষোভ সভায় পঞ্চায়েতের এই ধরনের প্রতারনা নিয়ে প্রত্যেক বক্তাই প্রধান পথ সরকার ও পঞ্চায়েত সচিব রঘুনাথ সাহার এই ষড়যন্ত্রে তীব্র ক্ষোভ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন৷ সভায় রাজ্য কমিটির সংগঠনিক সচিব কেশব মজুমদার বলেন মানিক সরকার এ রাজ্যে বিরোধী দলের অস্থিত্ব মুছে দিয়ে নয়া এক নায়কতন্ত্র প্রতিষ্টা করতে চাইছেন৷
2016-02-15