নিজস্ব প্রতিনিধি, চুরাইবাড়ি, ৮ ফেব্রুয়ারি৷৷ গরু ছাগলের সাথে মিড ডে মিল খাচ্ছে কদমতলা সুকলের ছাত্রছাত্রীরা৷ তাছাড়া ছাত্রীদের দেওয়া হচ্ছে মেয়াদ উত্তির্ন খাবার৷ পানিয় জলের তীব্র সংকট৷ আস্থা ডিমের ফলে দেওয়া হচ্ছে একটুকরে, অর্ধেক করে ডিম৷ অভিযোগ কদমতলা সুকলের ছাত্রছাত্রী ও তাদের অভিভাবকদের৷ ধর্মনগর হমকুমার মধ্যে দ্বাদশমান বিদ্যালয়ের ঐতিহ্য অনেক পুরনো৷ উত্তর জেলার মধ্যে এই সুকল একটি আদর্শ বিদ্যাপীট রূপে পরিচিত ছিল৷ কিন্তু কয়েক বৎসর যাবৎ কদমতলা দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় রাজ্যের সবকটি বিদ্যালয়কে পিছনে ফেলে দূনীতি ও নানা অপকর্মে প্রথম স্থান দখল করেছে৷ এই সুকলের প্রধান শিক্ষক সুদীপ কুমার দাস ২০০১ সালে এসে দায়িত্ব হাতে নিয়ে এখন পর্যন্ত প্রধান শিক্ষকের চেহারেই মুখ নিদ্রা দিচ্ছেন৷ [vsw id=”bkoT0XMb-78″ source=”youtube” width=”425″ height=”344″ autoplay=”yes”]আর প্রধান শিক্ষক সুদীপ কুমার নামের প্রচ্ছন্ন সদতেই সুকলের শিক্ষক শিক্ষিকারা মজিমাফিক সুকলে পরিণত করে ফেলেছেন৷ স্থানীয় জনগন ও ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকরা বার বার প্রধাম শিক্ষকের কাছে অভিযোগ করে ক্লান্ত৷ তাই নতুন করে অভিভাবকরা ছাত্রদের কদমতলা সুকলে ভর্তি না করিয়ে পাইভেট সুকলেই ভর্তি করান৷ তাছাড়া ইদানিং কালে মিডডেমিল খাওয়াতে সুকল কর্তৃপক্ষ নান দূনীতি করছে৷ ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত প্রায় ৩৪১ জন ছাত্রছাত্রীদের মুকে জুটে দুপুরের মিডডেমিল৷ বাকী ছাত্রছাত্রীদের ভাগ্যে জোটে শিক্ষক মশক্কইদের রাঙ্গা দুটি চোখ৷ দুপুরের মিডডেমিলের দায়িত্বে রয়েছেন সুকলের শিক্ষক অর্থ্যাৎ মিডডেমিল কনভেনার সুবুধ রঞ্জন দাস, প্রধান শিক্ষক সুদীপ কুমার নাথ, গ্রুপ ডির কর্মচারী হরিপদ নাথ৷ মিডডেমিল অর্গেনাইজার অমল নাথ এবং চারজন রাধুনী – ১) স্বপ্ণা নাথ ২) নিয়তি পাল, ৩) শিখা কর ৪) রত্না নাথ৷ আর দায়িত্বে থাকা মিডডে মিলের বাবু ও মেডামরা পোকা ধরা চাল, নষ্ঠ ডিম, কম সিদ্ধ ভাত করে ছাত্রছাত্রীদের মর্জিমাফিক খাওয়াছেন৷ যে খাবার খাওয়ার উপযোগী নয়৷ ছোট ছোট ছাত্রছাত্রীরা না খেতে পেরে ফেলে যায়, এবং পরের দিন আর দুপুরের মিডডেলি খেতে আসেনা৷ আর বেঁচে যাওয়া অর্থ ও পন্য সমাগ্রী দায়িত্বে থাকা বাবু ও ম্যাডামরা বাড়িতে নিয়ে যান৷ পাশাপাশি বসারও তাল সুবন্ধেবস্থা নেই৷ গরু ছাগলের সাথে দেওয়া হয় ছাত্রছাত্রীদের মিডডেমিল৷ নেই বিশুদ্ধ পানিয় জল৷ নোংরা দুর্গন্ধ যুক্ত জল খেতে দেওয়া হয় ছাত্রছাত্রীদের৷ সেই জল খেয়ে ছাত্রছাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়ে৷ এমনকি সাপ্তাতে নিদিষ্ট দিন খাবারের তালিকা থাকলেও সুকল কর্তৃপক্ষ মর্জি মাফিক খাবার তৈরী করে৷ আস্থা ডিম দেওয়ার কথা থাকলেও একটি ডিমকে চারভাগ করে, দুভাগ করে দেওয়া হয়৷ কোন ছাত্রছাত্রী পুনরায় খাবার চাইলে তাকে পালিশমেন্ট দেওয়া হয় বেথাঘাত করে৷ তাই ছাত্রছাত্রীরা ভয়ে মুখখুলেনা৷ তবুও কিছু ছাত্ররা সাহস করে সংবাদ মাধ্যমের সামনে তাদের দুঃখ কষ্ঠের কথা বলে কেধে কেধে৷ ছাত্ররা আরও অভিযোগ করে বলে ভাতের সাথে প্রায় সময় পোকা পাওয়া যায়৷ কিন্তু ভয়ে বলতে পারেনা প্রধান শিক্ষক সুদীপ কুমার নাথ, সুবুধ রঞ্জন দাস, হরিপদনাথ, অমল নাথ, স্বপ্ণা নাথ, নিয়তি পাল, শিখা কর ও রত্না নাথের শাষানি ও বেথাঘাতের মত পালিশ মেন্টের কারণে৷ তাই কদমতলাবাসীর জোরালো অভিযোগ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আর্বিকারিকগন যেন তার বক্ষসদের হাত থেকে তাদের শিশুদের বাচিয়ে সুনাম ধন্য আদর্শমান কদমতলা সুকলটি ফিরিয়েছেন৷ না হলে কদমতলা বাসী আগামীদিনে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবে৷