নিজস্ব প্রতিনিধি, চুড়াইবাড়ি, ৩১ জানুয়ারি৷৷ কর ফাঁকি দিয়ে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার সামগ্রী রাজ্যে প্রবেশ করছে৷ কর ফাঁকি দিতে গিয়ে অসাধু ব্যবসায়ী ফাঁকিবাজরা রাজ্যের প্রবেশদ্বার চুড়াইবাড়িকে ব্যবহার করত৷ এখন চুড়াইবাড়ি দিয়ে পাচার বাণিজ্য সংগঠিত করা সহজ নয়৷ পুলিশের জালে পড়ার আশঙ্কা থাকে৷ তাই বিকল্প পাচার বাণিজ্যের করিডোর হিসেবে কুকিতল কাঁঠালতলি — কূর্তি ঝেরঝেরি সড়ককেই ব্যবহার করছে চোরাকারবারীরা৷ কদমতলা থানার নিয়ন্ত্রণাধীন কুকিতল কাঁঠালতলি ঝেরঝেরি কূর্তি এখন ফাঁকিবাজ পাচারকারীদের স্বর্গ রাজ্য৷ পাচারে বাণিজ্যে মৃগয়া ভূমি হিসাবে ইতিমধ্যে খ্যাতি লাভ করেছে এই সড়কটি৷ কদমতলা থানার থানাবাবুদের আরো বেশ কয়েকজন বৃদ্ধি পেয়েছে৷ শুধুমাত্র করফাঁকি দিয়েই বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী রাজ্যে প্রবেশ করছে না, তার সাথে ফেন্সিডিল মদ সহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য ও প্রবেশ করছে৷ কুকিতল কাঁঠালতলি ঝেরঝেরি কূর্তি রাজ্যের বিকল্প জাতীয় সড়কদ্বার৷ আসামের কুকিতল কাঁঠালতলি হয়ে ত্রিপুরার ঝেরঝেরি কূর্তির বুক চিড়ে এই সড়কটি রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় চলে গেছে৷ ফলে মাদককারবারী ফেন্সি মাফিয়া ও কর ফাঁকিবাজদের অবৈধ্য পাচার বাণিজ্য সোনায় সোহাগা৷ থানাবাবুদের বগল দাবা করে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার পাচার বাণিজ্য সংগঠিত হচ্ছে বিকল্প জাতীয় সড়ক দিয়ে৷ পুলিশ সব কিছু দেখেও না দেখার ভান করে টাকা উপার্জন করছে৷ এদিকে, কদমতলা ঝেরঝেরি কূর্তির স্থানীয় জনগণ অনেকবার করফাঁকি দেওয়া গাড়ি আটক করে কদমতলা থানাতে দিলে থানাবাবুরা বিক্রয় কর দপ্তরের হাতে তুলে দেন, আর বিক্রয়কর দপ্তরকে মোটা অঙ্কের প্রণামী দিয়ে গাড়ি ছাড়িয়ে নিয়ে যায়৷ তাই স্থানীয় জনগণের অভিযোগ, এ সমস্ত ঘটনা পুলিশের ইশারাতেই হচ্ছে৷ আর কদমতলা থানার সাথে আসামের কাঁঠালতলির একলাছ উদ্দিন, সেলিম উদ্দিন নামের দুই ফেন্সি মাফিয়া, মাদক ও চোরাকারবারী মোটা অঙ্কের মাসোহারা রয়েছে৷ বিকল্প সড়ক দিয়ে সমস্ত অবৈধ পাচার বাণিজ্য চালাচ্ছে কাঁঠালতলির একলাছ ও সেলিম৷ তাছাড়া আরো গুরুতর অভিযোগ হল ফেন্সিডিল পাচার, করফাঁকি ব্যবসা ও পাচার বাণিজ্যে ঝেরঝেরি প্রেমতলা, বাঘন, চুড়াইবাড়ি ও কদমতলার লাল ঝান্ডার নিচে আশ্রিত কয়েকজন দুষৃকতীকারী রয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে৷
2016-02-01