নিখিল চন্দ্র ভদ্র, ঢাকা, ১ ফেব্রুয়ারি: সারা বিশ্বের পাঠকের কাছে বাংলা সাহিত্য তুলে ধরতে লেখক ও প্রকাশকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গনে বাঙালির প্রাণের মেলা ‘অমর একুশে গ্রণ্হমেলার’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন এমিরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।
এর আগে বিশিষ্টজনদের হাতে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০১৫ তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। ১০ ক্যাটাগরিতে এ পুরস্কার গ্রহণ করেন প্রাপ্ত কবি-সাহিত্যিকরা। পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন: কবিতায় আলতাফ হোসেন, কথাসাহিত্যে শাহীন আকতার, প্রবন্ধে যৌথভাবে আবুল মোমেন ও ড. আতিউর রহমান, গবেষণায় মনিরুজ্জামান, অনুবাদে আব্দুস সেলিম, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সাহিত্যে তাজুল মোহম্মদ, আত্মজীবনী, স্মৃতিকথা ও ভ্রমণকাহিনী ক্যাটাগরিতে ফারুক চৌধুরী, নাটকে মাসুম রেজা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও পরিবেশে শরীফ খান ও শিশুসাহিত্যে সুজন বড়ুয়া।
এবার অনেক বড় পরিসরেই হচ্ছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা। বেড়েছে বইমেলার পরিধি। বাংলা একাডেমির উল্টো দিকের উদ্যানের সীমানা প্রাচীরের একটি অংশ ভেঙে তৈরি করা হয়েছে ৪৮ ফুটের অতিরিক্ত নতুন প্রবেশ পথ। যার সঙ্গে বাংলা একাডেমি অংশের সরাসরি সংযোগ থাকবে।
মেলায় প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় যেনো জটলা তৈরি না না হয় তাই নতুন এ গেট করা হয়েছে। পাশে বাঁশ এবং টিনের বেড়া দিয়ে ঘিরে মেলার আয়তন বাড়ানো হয়েছে।
গ্রন্থমেলায় টিএসসি, দোয়েল চত্বর দিয়ে দুটো মূল প্রবেশ পথ, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে তিনটি পথ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ ও বাহিরের আটটি পথ থাকবে। এবারই প্রথম সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশের সুবিধার্থে নতুন ৪৮ ফুটের সুপ্রশস্ত গেটটি নির্মাণ করা হয়েছে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিক দিয়ে প্রবেশের সময় যে ফাঁকা অংশ ছিল সেটাও চলে এসেছে মেলার ভেতরে। ফলে কালী মন্দিরের গেট দিয়ে সরাসরি বইমেলায় প্রবেশ করবেন দর্শনার্থীরা। এছাড়াও দোয়েল চত্বরে তিন নেতার মাজার দিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢুকে মেলায় প্রবেশ করা যাবে। একইভাবে টিএসসির দিক থেকে উদ্যানে ঢুকে মেলায় প্রবেশ করা যাবে। মেলায় প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় যেনো জটলা সৃষ্টি না হয় এ জন্যই বাংলা একাডেমি এবার আসা যাওয়ার পথ বাড়িয়েছে।