গুয়াহাটি, ৩১ জানুয়ারি, (হি.স.) : ফের বিতর্কের জালে ফেঁসে গিয়েছেন অসমের সাংবাদিক অতনু ভুইয়াঁ| গুয়াহাটির একটি বৈদু্যতিন সংবাদ মাধ্যমের প্রধান সম্পাদক অতনু ভুইয়াঁ এবং দিল্লিতে কর্মরত অসমের অন্য আরেকটি বৈদু্যতিন চেনেলের সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দেশের রাজধানী শহরের রাজৌরি গার্ডেন থানায় ৬৭১৬ নম্বরে ভারতীয় ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩৭৬৩৫৪৫০৯৩৪ ধারায় ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানিজনিত এক মামলা নথিভুক্ত হয়েছে| গত ৯ জানুয়ারি অসমেরই এক মহিলা সাংবাদিক অতনু ভুইয়াঁ এবং অপর সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ওই মামলা রুজু করেছেন| ইতিমধ্যে মামলার পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লির এক পুলিশদল গুয়াহাটি এসে হাজির হয়েছে বলে জানা গিয়েছে| মহিলা সাংবাদিকের সঙ্গে যৌন নিপীড়ন, মানসিক নির্যাতন এবং শ্লীলতাহানি সংক্রান্ত খবর সোশাল মিডিয়ায়ও ইতিমধ্যে ফলাও করে প্রচারিত হয়ে পড়ায় গোটা রাজ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে|
রাজ্যের কৃষি ও গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী রকিবুল হুসেনের আসাম টকস নামের বৈদু্যতিন চেলেনের দিল্লিতে কর্মরত, অসমের গোলাঘাটের বাসিন্দা মহিলা সাংবাদিকটি তাঁর এজাহারে লিখেছেন, গত আগস্টে তাঁকে দিল্লিতে নিয়োগ করা হয়| সেখানে নিযুক্ত হওয়ার পরই তাঁকে সংশ্লিষ্ট চেনেলের প্রধান সম্পাদক অতনু ভুইয়াঁর নানাধারনের অশালীন প্রস্তাবের সম্মুখিন হতে হচ্ছিল| নানা সময় ওয়াটসআপেও নানা কু-প্রস্তাব দিয়ে মানসিক নির্যাতন করেন| এমন-কি গত ডিসেম্বরে তাঁকে সঙ্গে নিয়ে শ্রীনগরে যাওয়ারও কু-প্রস্তাব দিয়েছিলেন অতনু| এজাহারে লিখেছেন, আসাম টকস-এর স্বত্বাধিকারী মন্ত্রী রকিবুল হুসেনকে এ-ব্যাপারে এক অভিযোগপত্র দাকিল করার পর গত পাঁচ ডিসেম্বর তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেন অতনু ভুইয়াঁ| একই এজাহারে তিনি দিল্লিতে কর্মরত গুয়াহাটির অন্য এক বৈদু্যতিন চেনেলের এক সাংবাদিক নাকি তাঁর সঙ্গে অতনুর পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন বলে উল্লেখ করেছেন| লিখেছেন, অসমের দেরগাঁওয়ের বাসিন্দা বর্তমানে দিল্লিতে কর্মরত ওই সাংবাদিকটি ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে গুয়াহাটিতে তাঁর হাতিগাঁওয়ের ফ্ল্যাটে তাঁকে ডেকে এনে ধর্ষণ করেছিলেন| বিবাহিত সাংবাদিকটি নিজেকে অবিবাহিত বলে তাঁকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন বলে এজাহারে অভিযোগ করেছেন মহিলা সাংবাদিকটি| উল্লেখ্য, তাঁর ওপর আরেক সাংবাদিকের পত্নীও নির্যাতন চালিয়েছিলেন বলে এজাহারে লিখেছেন অভিযোগকারিণী মহিলা সাংবাদিক| এদিকে, গোটা ব্যাপার সম্পর্কে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়ে বার বার ফোন করা সত্ত্বেও তাঁর মোবাইল ফোনের সুইচড অফ পাওয়া গিয়েছে| তাই এ-ব্যাপারে অতনুর কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি|