নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৯ জানুয়ারি৷৷ রাজ্যের চা বাগান কর্মচারীদের বেতনভাগ বৃদ্ধি সহ নানা বিষয় নিয়ে শুক্রবার শ্রম কার্যালয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়৷ দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধির সহেগ সংহতি রেখে চা বাগান কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধির জন্য শ্রমিক সংগঠনগুলি দাবি জানিয়েছে৷
রাজ্যে বর্তমানে ৫৬টি চা বাগান ব্যক্তিগত মালিকানাধীন রয়েছে৷ গত দুবছর আগে চা বাগানের স্টাফ ও সাব স্টাফদের বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছিল৷ এরপর আর বেতন বৃদ্ধি হয়নি৷ চা বাগানের কর্মচারীরা চরম বঞ্চনার শিকার বলে অভিযোগ এনেছে সিট্যু ও ইন্টাক উভয় শ্রমিক সংগঠন৷ এরই পরিপ্রেক্ষিতে শ্রম অধিকর্তার কার্যালয়ে শুক্রবার ত্রিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়৷ বৈঠকে উনি বাম উভয় শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন৷ সিট্যুর তরফে বলা হয় মালিকরা সব সময়ই লাভ লোকসানের উপর নির্ভর করে শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণ করেন৷ দ্রব্যমূল্যের উপর সংহতি রেখে মজুরি বৃদ্ধি করা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন সিট্যু নেতৃত্ব৷ তারা আরো বলেন, মালিকদের যখন বেশি লাভ হয় তখন শ্রমিকরা বেশি বেতন পায় না৷ লাভ যখন কম হয় তখনই মালিকরা হৈচৈ শুরু করেন৷ ইন্টাক নেতা বলেন, চা বাগানের কর্মচারীদের জন্য ৮০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির জন্য দাবি জানানো হয়েছে৷ ২ বছর আগে মজুরি বৃদ্ধি হয়েছিল৷ মালিকরা বলছে চায়ের বাজার কম৷ আমাদের দাবি হল দাম কমবেশি বুঝি না, দ্রব্যমূল্য অনুপাতে বেতন বৃদ্ধি করতে হবে৷ লিভ এলাউন্সও দিতে হবে৷ বেতন না বাড়লে কর্মচারীরা না খেয়ে মরবে বলেও অভিমত ব্যক্ত করেছে ইন্টাক নেতা৷ সেজন্যই বেতন কাঠামো বাড়ানো হোক, সুযোগ সুবিধা দেওয়া হোক৷ সুযোগ সুবিধা পেলেই তারা কাজ সুচারুভাবে করতে পারবে৷
রাজ্যের চা বাগান মালিকরা লাভালাভের যে অঙ্ক কষছেন তা শ্রমিকদের ঠকানোর অন্যতম কৌশল বলে মনে করেন চা বাগান শ্রমিকরা৷ চাহিদা মতো বেতন না পেলে শ্রমিকরা বৃহত্তর আন্দোলনে সামিল হবেন বলে ইতিমধ্যেই হঁুশিয়ারি দেওয়া হয়েছে৷
2016-01-30