খোয়াই বিমানবন্দরের জমি জবরদখলের চেষ্টা, প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী

Khowai Airportনিজস্ব প্রতিনিধি, খোয়াই, ২৮ জানুয়ারি৷৷ খোয়াই পুর পরিষদের উদাসীনতা এবং ব্যাক্তিস্বার্থ চরিতার্থকারী হাতেগুনা কয়েকজন এলাকাবাসীর অতিবিচক্ষনতার জন্য পুর পরিষদকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হচ্ছে৷ বর্তমানে খোয়াই সুভাষপার্ক বাজারের পাশে নিষ্প্রভ খোয়াই বিমান বন্দর এলাকা৷ একটি সুন্দর পরিবেশ৷ লম্বা-চওড়া বিশাল এলাকা৷ যেহেতু বিমান বন্দর হলেও এখানে আর বিমান অবতরন করেনা৷ তাই এই সুবিশাল এলাকা এখন মাঠে পরিণত হয়েছে৷ নিয়মিত খেলাধূলা হয়৷ লিগ- টুর্নামেন্ট হয়৷ আট থেকে আশি, শিশু থেকে বৃদ্ধ সকল অংশের মানুষ শরীরচর্চার জন্য বিমান বন্দর মাঠকেই বেছে নেন৷ প্রাতঃভ্রমনকারী থেকে খেলোয়াররা সববাই এই মাঠে দৌড়ঝাঁপ করেন৷ সেই সাথে দ্বিচক্র যান, গাড়ী চালানো প্রশিক্ষন নিতে এই বিমান বন্দর প্রাঙ্গনকেই বেছে নেওয়া হয়৷ পাশেই বনেদী সুকল৷ কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় এই সুন্দর পরিবেশটাকে ধবংশের পথে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে৷
হাতেগুনা অতিবিচক্ষন কিছু এলাকাবাসী বিমান বন্দর এলাকা জবর দখলের লড়াই চালাচ্ছে৷ অসামাজিক কাজকে সহায়তা করা, ইট-বালি-গাড়ী সহ নানান কাজে উনারা জায়গা দখল করার লড়াইয়ে ব্যস্ত৷ এরই মধ্যে বিমান বন্দর এলাকায় এক বিশালাকার গর্ত ভরাটের নামে পুর পরিষদের উদাসীনতা সামনে এসেছে৷ এক্ষেত্রেও অতিবিচক্ষন কিছু পৌর কর্মীর দৌলতে এলাকাবাসীর নাভি-শ্বাস৷ শহরের যত আবর্জনা আছে তা দিয়ে ঐ গরত ভরাটের উদ্যোগে পুরবাসীর জন্য ক্ষতিকর তো বটেই পরিবেশের জন্য ততটাই ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ নুংরা-পঁচা-আবর্জনার গন্ধে পথচলতি মানুষের যেমন প্রাণ ওষ্ঠাগত, তেমনি স্থানীয়দের হাল আরও দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে৷ বর্তমানে কেউই মাঠে যেতে পারেন না৷ পাশেই বনেদী সুকল৷ সুকল পড়ুয়ারাও এই দূর্বিসহ অবস্থার মধ্যেই পঠন-পাঠনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে৷ দূর্গন্ধ সব কিছুকেই ছাপিয়ে গেছে৷ পুর পরিষদের লক্ষ্য একটাই৷ আবর্জনা দিয়ে গর্ত ভরাট করলে অল্প কিছু মাটি দিয়েই বাকি গর্ত ভরাট করা যাবে৷ যদিও এক্ষেত্রে পুর পরিষদ ব্যক্ষাস্বরূপ বাজারের কীর্ত্তন কমিটির দোহাই দিতে ব্যস্ত৷ এই গর্ত ভরাট হলে কীর্ত্তনের জন্য একটা বড় জায়গা তৈরী হবে৷ আপাতত এই অজুহাতেই বিশালাকার গর্ত শহরের পঁচা-আবর্জনা দিয়ে ভরাট করার চেষ্টা চলছিল৷ কিন্তু হয়তো সাবধনতাবশত এই আবর্জনার স্তুপে আচমকা আগুন ধরে যায় সেদিন৷ প্রচন্ড ধুঁয়া বের হতেই স্থানীয়দের খবর দেন অগ্ণিনির্বাপক দপ্তরে৷ দমকল কর্মীরা তড়িঘড়ি আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন৷ তবে এর মধ্যেই হদিশ মিলে চোরা কাঠ কারবারের৷ এই আবর্জনার স্তুপ থেকেই বেরিয়ে পড়ে অবৈধ মজুত অনেক কাঠ৷ পাশেই বাশ বাজার৷ উল্টো দিকে খোয়াইয়ের স্বনামধণ্য সুকল৷ এই আবর্জনা, দূর্গন্ধ এবং আবর্জনা পুড়ার ফলে ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্ত ছিলনা সুকল পড়ুয়ারা৷ যদি রাতে এই আগুন ধরতো তবে তা যে ভয়বহ আকার ধারন করতে পারতো, তাতে কোন সন্দেহের অবকাশ থাকছেনা৷
বিমান বন্দরে সুন্দর পরিবেশ এবং এলাকার পরিবেশকে উদ্ধার করতে ব্যস্ত পুর কর্মীরা৷ তাকে হউক না হাজার হাজার মানুষের নাভিঃশ্বাস৷ প্রাকৃতিক পরিবেশের বারোটা বাজুক না, তাতে কি৷ যদিও জনসাধারন বলছেন প্রশাসন একটু সুদৃষ্টি দিলে এই বিমান বন্দর মাঠটিকে পুনরায় সুন্দর-নির্মল করে তোলা যেত৷ ফের একবার নির্বিঘ্নে চলতো শরীরর্চ্চা, খেলাধূলা, দৌড়ঝাঁপ ইত্যাদি ইত্যাদি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *