নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১১ জানুয়ারি ৷৷ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বরে গঙ্গাসাগারে সহীদ হয়েছিলেন লেন্স নায়েক এলবার্ট এক্কাসহ ১২ জন৷ লেন্স নায়েকে যেখান থেকে এনে সমাদিত করা হয়েছিল আগরতলার ডুকলী এলাকায়৷ স্থানীয় এক ব্যক্তি সমাধী করার জায়গা দিয়ে ছিলেন৷ বীর সহীদের স্মৃতিতে সেখানে তিনি নিজেই শহীদ বেদীও গড়ে তুলেছিলেন৷ সহীদ লেন্স নায়েক এলবার্ট এক্কাকে পরমবীর চক্র প্রদান করা হয়৷ সেনাবাহিনীর তরফে পরমবীর চক্র সর্বোচ্চ সম্মাননা৷ শহীদ লেন্স নায়ক এলবার্ট এক্কার বাড়ি ঝাড়খন্ডে৷ পরিবার পরিজনরা আজ আগরতলায় আসেন৷ তাঁরা ডুকলীতে গিয়ে শহীদ এলবার্ট এক্কার সমাধিস্থলে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পন করেন৷ বিধবা পত্নী, পুত্রসহ অন্যান্য পরিজনরা মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রয়াতের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান৷
[vsw id=”fw_D4oOnZMI” source=”youtube” width=”325″ height=”244″ autoplay=”yes”]তাঁরা সমাধীস্থল থেকে মাটি নিয়ে যেতে এসেছেন৷ শহীদ পরমবীর চক্র প্রাপক লেন্স নায়ক এলবার্ট এক্কার পুত্র সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, এখানে আসার আগে তারা খোঁজ করেছেন তাদের পিতার কবর স্থান কোথায়৷ আগরতলার পিতার কবর স্থানে আসতে পারায় নিজেদেরকে কৃতার্থ বলে মনে করছেন৷ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তিনি শহীদ হয়েছেন৷
তারা আরও জানান, বাংলাদেশের গঙ্গাসাগনে যুদ্ধ করতে গিয়ে সেখানে তিনি শহীদ হয়েছেন সেখানেও তারা যেতে চান৷ আগরতলায় এসে যেভাবে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পন করেছেন বাংলাদেশের গঙ্গাসাগরে গিয়েও ঠিক যেভাবেই শ্রদ্ধা জানাতে চান৷ বাংলাদেশ সরকার অনুমতি দিলে সেখানেও স্মৃতি স্থাপন করবেন বলে জানান শহীদ পুত্র৷ প্রয়াতের বিধবা পত্নীও অন্তত একবার স্বামীর শহীদস্থল দেখতে ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন৷ বাংলাদেশ সরকারের অনুমতি পেলেই তারা সেখানে যেতে চান বলে শহীদ পুত্র জানান৷
ভারতীয় বীর বৈ নিকেরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মাতৃভূমি রক্ষাতে ১৯৭১ সালের ৩রা ডিসেম্বর শহীদ হয়েছেন তাদের মধ্যে লেন্স নায়েক এলবার্ট এক্কা ছাড়াও যারা শহীদ হয়েছিলেন তারা হলেন গার্ডসমেন গোলাব সিং, কাশীনাথ, ডেভিড টিপ্পা, মালকিত সিং, উধো সিং, রামদেও সাহানী, কেশর দেব, দাল সিং, জোসের্ক টপনো, শিব নারায়ন ও দুর্গা প্রসাদ৷
2016-01-12