রাজ্য সরকারের অসহযোগিতায় অনেক কিছুতেই জনগণ সুফল পাননি, জানালেন বিজেপির বিদায়ী প্রদেশ সভাপতি

Sudhindraআগরতলা, ৯ জানুয়ারি৷৷ ভারতীয় জনতা পার্টির ত্রিপুরা প্রদেশ কমিটির বিদায়ী সভাপতি সুধীন্দ্র দাশগুপ্ত তাঁর কার্যকালের মেয়াদ শেষে রাজ্যবাসী, বিজেপির কার্যকর্তা, সদস্য ও সমর্থকদের তাঁর আন্তরিক প্রীতি, শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন, এবং বর্তমান সভাপতির নেতৃত্বে বিজেপির অগ্রগতি আরো ব্যাপক হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন৷
এক শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি বলেছেন, বিগত বছর সমূহের ভোটের পরিসংখ্যান খতিয়ে দেখলে দেখা যায় কোনো প্রকার জোট রাজনীতিতে না গিয়েও বিজেপি একক শক্তিতে প্রতিটি নির্বাচনে ধীরলয়ে ভোট বাড়াতে সক্ষম হয়েছে৷ ২০০৯ লোকসভা নির্বাচনে জোট সঙ্গী নিয়ে দুটি আসনে বিজেপি মোট ভোট পেয়েছিল ৫৯৪৫৭ (৩৮শতাংশ)৷ ২০১৪ এর লোকসভা নির্বাচনে জোটহীনভাবে নির্বাচনে লড়ে দুটি আসনে বিজেপির প্রাপ্ত ভোট ছিল ১,১৬,৩১৯টি ভোট (৬শতাংশ)৷
২০১৪-এর ত্রিস্তরীয় গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি এককভাবে ৫টি পঞ্চায়েত দখল সহ ১৪২ জন পঞ্চায়েত সদস্য জয়ী করতে সক্ষম হয়৷ ৮৫১ জন পঞ্চায়েত সদস্য দ্বিতীয় স্থান দখল করেছেন৷ যা একটা ঐতিহাসিক রেকর্ড৷ এডিসি নির্বাচনেও বিজেপি ৮শতাংশ ভোট পেয়ে কংগ্রেসকে পেছনে ঠেলে দিয়েছে৷ কংগ্রেসের প্রাপ্ত ভোট ৫,৪৮ শতাংশ৷ ২০১০ এডিসি নির্বাচনে বিজেপির প্রাপ্ত ভোট ছিল ২,৭৬৯টি৷ ২০১৫ এর নির্বাচনে বিজেপি ভোট পেয়েছে ৫০৩৮৫টি৷ ২০১৫ এর প্রতাপগড় এবং সুরমা উপ নির্বাচনেও কংগ্রেসকে পেছনে ঠেলে বিজেপি আশাতীতভাবে ২৪ শতাংশ ভোট পেয়েছে৷ প্রতাপগণ কেন্দ্রে বিজেপি পেয়েছে ১০,২২৯ টি ভোট, আর কংগ্রেস পেয়েছে ৫,১৮৪টি ভোট৷ সুরমা কেন্দ্রে বিজেপি পেয়েছে ৭৬৯৯ টি ভোট, কংগ্রেস পেয়েছে ২৫২৮টি ভোট৷ সদ্য সমাপ্ত আগরতলা পুরনিগম, পুরপরিষদ, নগর পঞ্চায়েত নির্বাচনেও বিজেপির সাফল্য অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে৷ আগরতলা পুর নিগমে কোন আসন জিততে না পারলেও ১০টি আসনে বিজেপি দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে৷ ধর্মনগর এবং কুমারঘাটে ২টি করে মোট ৪টি আসনে জয়ী হয়েছে৷ শাসকদলীয় ক্যাডারবাহিনীর প্রচন্ড ভয়ভীতি, সন্ত্রাস মারপিট, প্রলোভন ও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার মুকোমুখি দাঁড়িয়ে বিজেপি প্রার্থী ও কর্মীগণ যে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েেিছন তাকে বাহবা জানাতেই হয়৷ তিনি বলেছেন, তার সময়কালীন সময়ে রাজ্যের উন্নয়নের স্বার্থে তিনি প্রতিনিয়তই কেন্দ্রীয় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা বিশেষ করে জিবিপি হাসপাতাল ও ক্যান্সার হাসপাতালের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন, রাজ্যের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, বেহাল শিক্ষা পরিস্থিতি সর্বশিক্ষার শিক্ষক ও সুকল কর্মরত কম্পিউটার শিক্ষক ও রাজ্যের শিক্ষক কর্মচারী ও পেনশনারদের বেতনভাতা, চিটফান্ড, বেকার সমস্যা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে৷ কেন্দ্রীয় সরকার দরাজ হস্তে বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থ মঞ্জুরী দিয়েছেন৷ কিন্তু রাজ্য সরকারের অসহযোগিতায় অনেক কিছুতেই রাজ্যবাসী সুফল পাননি৷ রাজ্যের মহিলা নির্যাতন, প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণ, অতিরিক্ত বিমান ভাড়া কমানোর দাবিতে বিজেপি আন্দোনমূখর ছিল৷ এই সমস্ত আন্দোলন সংগঠিত করতে গিয়ে অনেকই গ্রেপ্তার বরণ করেছেন এবং এখনো তাদের বিরুদ্ধে মামলা জারি রয়েছে৷ সমস্ত কিছুই সম্ভব হয়েছে রাজ্যবাসীর একান্ত সহযোগিতার কারণে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *