কেন্দ্রের ২৯২ কোটি টাকা চারমাসেও পৌঁছয়নি অসমের পঞ্চায়েতগুলিতে, রাজ্যকে দুষলেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী

nihal chandগুয়াহাটি, ৯ জানুয়ারি, (হি.স.) : মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈয়ের মিথ্যাচারের স্বরূপ ফাঁস করে হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী নিহালচাঁদ| অসমের বিকাশ-বিরোধী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে দিবারাত্র শরগোল তুলেন| মোদি ভুয়ো প্রতিশ্রুতি দিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেন বলে অহরহ অভিযোগ তুলেন মুখ্যমন্ত্রী গগৈ| মঙ্গলবার রাজ্যের গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী রকিবুল হুসেনও মুখ্যমন্ত্রীর সুরে গান ধরতে এক সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে টাকা দিচ্ছে না বলে গাদা গাদা অভিযোগ তুলেছিলেন| সেই তরুণবাবু বা তাঁর মন্ত্রীরা যে কতটা মিথ্যাবাদী তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী নিহালচাঁদ| কেন্দ্রীয় সরকারের যাবতীয় নথিপত্র হাতে নিয়ে তিনি দেখিয়ে জানিয়েছেন, অসমের প্রত্যেক গ্রামের উন্নয়নখাতে গত ১৮ আগস্ট ২৯২ কোটি টাকা রিলিজ করা হয়েছে| এত টাকা হাতে পাওয়ার চার মাস পার হয়ে গেছে, এখনও এর কানাকড়ি একটি গ্রামপঞ্চায়েতেও গিয়ে পৌঁছয়নি| তাই অসমের গ্রামাঞ্চলের উন্নয়ন স্থবির হয়ে পড়েছে| অসমের অনুন্নয়নের জন্য খোদ রাজ্য সরকারই দায়ী বলে অভিযোগ তুলেছেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী নিহালচাঁদ| জানান, কেন্দ্রীয় তহবিলের টাকা চারমাস আটকে রাখা অপরাধ, এজন্য কারণ দর্শাতে রাজ্যকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে| তিনি বলেন, গ্রামাঞ্চলের বিকাশই দেশের বিকাশ| এই ধারণা মাথায় রেখে এক্ষেত্রে কোনও গ্রাম যাতে পশ্চাদপদ না-থাকে সে-ব্যাপারে সকলকে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি| গ্রামের উন্নয়নের সঙ্গে কোনও আপস নয় বলেই ২৯২ কোটি টাকা অসম সরকারের হাতে তুলে দিয়েছিল কেন্দ্র| কিন্তু টানা চার মাসেও যদি এই টাকার সদব্যবহার না-হয় তাতে কেন্দ্রের দোষ কোথায় বলে পালটা প্রশ্ন তুলেছেন তিনি| নিজেরা টাকার অপপ্রয়োগ করে অহরহ টাকা দিচ্ছে না বলে রাজ্য সরকার কার স্বার্থে মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়েছে বলেও নিহালচাঁদ বিস্ময় প্রকাশ করেছেন| কেন্দ্র-আবণ্টিত এতগুলি টাকা কেন চার মাসের মধ্যে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে যায়নি সে-ব্যাপারে আগামী সাতদিনের মধ্যে সরকারিভাবে কারণ দর্শাতে বলেছেন তিনি| কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, নিয়ম হল, কেন্দ্রীয় সরকার প্রদত্ত টাকা রিলিজ করার পনেরো দিনের মধ্যে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে পাঠানো| কিন্তু তা না-করে এতগুলি টাকা চারমাস ধরে কোথায় পড়ে রয়েছে, তা-ও এক রহস্য|
নিহালচাঁদের বক্তব্যের সত্যাসত্য এবং এর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, তিনি সাতদিনের মধ্যে জবাবদিহি করতে বাধ্য নন| কেন্দ্রের ডেডলাইন তিনি মানেন না| উলটো তাঁর নাকি কেন্দ্রকে ডেডলাইন দিতে হবে| তিনি কারও রক্তচক্ষু ভয় পাওয়ার ব্যক্তি নন| বলেন, অসমের বিশেষ মর্যাদা হরণ করে, এমজিএরেগা খাতে অনুদান বন্ধ করার পরও আমাকে রক্তচক্ষু?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *