নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৬ অক্টোবর৷৷ ১৬ দিন অতিক্রান্ত হলেও বহিঃরাজ্যের এক সাংবাদিকের নিখোঁজ গাড়ি চালকের সন্ধান পাওয়ার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মহলে উদ্বেগ বাড়ছে৷ তার জীবিত থাকা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে৷ গত ২০ সেপ্ঢেম্বর দিল্লি থেকে আসা এক সাংবাদিক সজ্জন কুমারকে নিয়ে গোমতী জেলায় গিয়েছিলেন জীবন দেবনাথ৷ সেদিন টাকারজলা হয়ে খুমুলুঙ আসতেই ওই গাড়িতে অজ্ঞাত পরিচয় দুসৃকতকারীরা আগুন ধরীয়ে দেয়৷ সজ্জন কুমার তার গাইড সহ কোনক্রমে পালিয়ে আসতে সক্ষম হলেও সেদিন থেকেই নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন গাড়ির চালক৷ ইতিমধ্যে প্রায় পনেরো দিন অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও পুলিশ এখনো নিখোঁজ গাড়ির চালকের কোনও সন্ধান খুঁজে পায়নি৷ পূর্ব থানায় এই মর্মে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে৷ এদিকে পুলিশ দাবী করেছে খুমুলুঙ থেকে দুই দিন আগে ধৃত আইপিএফটি নেতা বলেন্দ্র দেববর্র্ম নিজেই জেরার মুখে জীবন দেবনাথকে তুলে নিয়ে যাওয়া এবং তাকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছে৷ কিন্তু তার দেহ যেসব স্থানে রাখার কথা বলা হয়েছে পুলিশ সে সব স্থানে তল্লাশি চালিয়ে কিছু পায়নি৷ পুলিশ জানিয়েছে এখনও সন্ধান চলছে৷ যদিও এখনও পর্যন্ত কোন সাফল্য পাওয়া যায়নি৷
এদিকে, সাংবাদিক হত্যার দিন অপর এক বহিঃরাজ্যের সাংবাদিকের গাড়ি চালক জীবন দেবনাথের নিখোঁজ হয়ে যাওয়া এবং সামগ্রিক ঘটনার পেছনে রহস্য ঘিরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সিপিএম৷ দলের রাজ্য সম্পাদক বিজন ধর বলেন, জীবন দেবনাথের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনা উদ্বেগজনক৷ গত কুড়ি সেপ্ঢেম্বর থেকে তিনি নিখোঁজ৷ বহিঃরাজ্যের এক সাংবাদিক এবং মোহনপুরের বিজেপি তথা আরএসএস কর্মী বিশ্বজিৎ দেবনাথকে সঙ্গে নিয়ে জীবন দেবনাথ যাচ্ছিলেন৷ খুমুলুঙ থেকে জীবন দেবনাথ নিখোঁজ হন৷ তাদের গাড়িটি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়৷ বাকি দুইজন অক্ষত অবস্থায় ফিরে এলেও জীবন দেবনাথের হদিশ পাওয়া যায়নি৷ সম্প্রতি ধৃতরা জীবন দেবনাথের রাখার যে সমস্ত স্থানের কথা উল্লেখ করেছে সেখানে পুলিশ অভিযান চালিয়েছে৷ কিন্তু, তার হদিশ পাওয়া যায়নি৷ বিজন ধর আশা প্রকাশ করেন খুব দ্রুতই তাকে অক্ষত অবস্থায় পুলিশ উদ্ধার করতে পারলেই ভাল৷ যদিও তার জীবন সংশয় রয়েছে৷
2017-10-07