নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, কৈলাসহর, ২ জুন৷৷ বৃহস্পতিবারের প্রবল বৃষ্টিতে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

হয়েছিল৷ নদীগুলির জলস্তর বিপাদ সীমার উপরে চলে গিয়েছিল৷ ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছিলেন বহু পরিবার৷ বিশেষ করে নদীর কাছাকাছি বাড়িঘরের মানুষজন৷ হাওড়া নদীর জল কিছুটা নীচে নামছে৷ জল সরে যাচ্ছে জনবসতি থেকে৷ শুক্রবার এলাকার বিধায়ক তথা বিধানসভার উপাধ্যক্ষ খয়েরপুর থেকে বলদাখাল জলমগ্ণ এলাকায় দুর্গতদের হাল হকিকত সরেজমিনে ঘুরে দেখেন৷ এখনো কিছু কিছু এলাকা জলমগ্ণ হয়ে রয়েছে৷ শ্রীলঙ্কা বস্তি সহ চন্দ্রপুরের বিভিন্ন এলাকায় বাড়িঘর জলমগ্ণ হয়ে রয়েছে৷ ধীরে ধীরে জল সরে যাচ্ছে৷ তবে আকাশের অবস্থা ভালো নয়৷ বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রবল৷ মহকুমা প্রশাসনের তরফ থেকে দুর্গতদের ত্রাণ ও উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে৷ এদিকে, রাজ্যের অন্যান্য মহকুমা থেকেও প্রাপ্ত সংবাদে জানা গিয়েছে শুক্রবারও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে৷
গত দুদিনের বৃষ্টিতে কৈলাসহর মহকুমার অধীনে কৈলাসহর পুর পরিষদের নয় নং এবং দশ নং ওয়ার্ডের কিনাইরচড় এলাকার এর বাড়ীতে জল ঢুকে যায়৷ বৃহস্পতিবার রাত্রে জল বেশী হওয়ার ফলে এলাকার মানুষন স্থানীয় গোবিন্দপুর এলাকায় অবস্থিত রামকৃষ্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নেয়৷ মোট ছয়ত্রিশ পরিবারের বাড়িতে জল উঠে৷ এরমধ্যে চৌদ্দ পরিবার (প্রায় পঞ্চাশ জন মানুষ) সুকলে আশ্রয় নেয়৷ স্থানীয় মহকুমা প্রশাসনের কাছে খবর পৌঁছা মাত্রই মহকুমা শাসক আশ্রয়স্থলে বৃহস্পতিবার রাতেই একজন আরআই এবং একজন তহশীলদার পাঠিয়ে রাত্রিতে ৫০ জনকে চিড়া এবং কলা দিয়েছে৷ শুক্রবার সকালে মহকুমা প্রশাসনের রতফে মুড়ি এবং ডালমুট দিয়েছে এবং দুপুর বেলা খিচুরীর ব্যবস্থা করে৷ ১৪ পরিবারকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিবার পিছু ১৫০ টাকা দিয়েছে৷ আর, সুকলে যারা আসেনি অর্থাৎ বাইশ পরিবারকে পরিবার পিছু ১০০ টাকা দিয়েছে৷ তবে শুক্রবার সকালে আরো বৃষ্টি হওয়ায় মনু নদীর জল বেড়েই চলছে৷ মূলত কিনাইচর এলাকাটি মনু নদীর তীবরবর্তী এলাকায়৷ তাই মনু নদীর জল না কমা পর্যন্ত এলাকাটি জলমগ্ণ থাকবে৷

