ফোন করে অন্যায় করিনি, সাফ জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

নন্দীগ্রাম, ৩০ মার্চ (হি.স) : পূর্ব মেদিনীপুরের বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি প্রলয় পালকে ফোন করেছিলেন বলে মঙ্গলবার সাফ জানিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দরকারে আরও অনেককে ফোন করবেন বলেও নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছেন।  মমতার জানিয়েছেন, ফোনটি করে তিনি কোনও অন্যায় করেননি। প্রয়োজন পড়লে আগামীদিনে এ রকম আরও অনেক ফোন করবেন তিনি। একই সঙ্গে মমতা জানিয়েছেন, গোপন কথোপকথন রেকর্ড করে ছড়ানোর দায়ে ওই বিজেপি নেতারই শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।


ফোনে মমতা এবং প্রলয়ের কথোপকথন ঘিরে গত কয়েক দিন ধরেই উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। যদিও ওই অডিও টেপের সত্যতা যাচাই করা হয়নি। তবে ওই অডিও রেকর্ডিংয়ে মমতাকে প্রলয়ের কাছে ভোটের কাজে সাহায্য চাইতে শোনা গিয়েছিল। তা নিয়ে তৃণমূলের শীর্ষস্থানীয় একাধিক নেতাকে বার বার সাফাই দিতে দেখা গেলেও, মমতা নীরব ছিলেন। তাতে আরও ধারাল আক্রমণ শানায় বিজেপি।


অবশেষে এদিন নন্দীগ্রামের টেংগুয়া মোড়ের সভায় বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন মমতা। সরাসরি প্রলয়ের নাম না নিলেও মমতা পাল্টা যুক্তি দেন যে, নন্দীগ্রামের ওই ভোটারের অনুরোধেই তাঁকে ফোন করেছিলেন তিনি।


প্রলয়ের সঙ্গে নিজের কথোপকথন নিয়ে মমতা বলেন, ‘‘নন্দীগ্রামের ওই যে ভদ্রলোকটি! আমার কাছে খবর এসেছিল যে কেউ কেউ কথা বলতে চায়। আমার কী অপরাধ? কেউ কথা বলতে চাইলে কি আমি না বলব? তা হলে তো আবার বলবে অহঙ্কারী? বলবে, কথা বলতে চাইলাম, কিন্তু বলল না। আর কথা বললে, তা রেকর্ড করে বাইরে ছড়িয়ে দেবে। তা ছাড়া এটা তেমন কোনও সিরিয়াস ঘটনা নয়। আমি ওকে কী বলেছি? বলেছি, ভাল থেকো, সুস্থ থেকো, যা ভাল বুঝবে করবে।’’


মমতা জানান, ‘‘মনে রাখবেন, প্রার্থী হিসেবে আমি কারও কাছে ভোটের আর্জি জানাতেই পারি। যখন নরেন্দ্র মোদী তৃণমূলের লোকেদের ফোন করেন, তখন দোষ হয় না? উনি তো পঞ্চাশটা করে ফোন করেন!আমি যদি নন্দীগ্রামের এক জন ভোটারের অনুরোধে তাঁকে ফোন করি, অন্যায়টা কোথায়? এ রকম ফোন আমি অনেক করব। আমি জনগণের সেবা করি। কেউ কিছু জানতে চাইলে, তাকে জানানো আমার কর্তব্য। সে যদি কথা রেকর্ড করে, ভাইরাল করে, তার শাস্তি হওয়া উচিত, আমার নয়। কথা রেকর্ড করে ভাইরাল করা অপরাধ। এটা প্রতারণা। করা যায় না।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *