ছাত্রছাত্রীদের এমন শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে যাতেনিজেরাই নিজেদের সমস্যার সমাধান করতে পারে : শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৬ মার্চ৷৷ রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের এমন শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে, যাতে নিজেরাই নিজেদের সমস্যার সমাধান করতে পারে৷ ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনার বিকাশ ঘটাতে হবে৷ যাতে তারা অনেকের মাঝে নিজেকে আলাদাভাবে তুলে ধরতে পারে৷ আজ প্রজ্ঞা ভবনে ‘নতুন দিশা ২.০ মিশন হাণ্ড্রেড ডেইজ’ এই কর্মসূচির উপর একদিনের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামের সূচনা করে একথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ৷


উল্লেখ্য, এই কর্মসূচির মাধ্যমে করোনা অতিমারিজনিত কারণে যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের লার্নিং লেভেলে গ্যাপ রয়েছে তাদের আগামী ১০০ দিনের মধ্যে যথোপযুক্ত স্তরে উন্নীত করা হবে৷ এর সাথে সাথে রাজ্যের বিদ্যালয়গুলোকে ১০০ দিন পর যাতে নন-রিডার ফ্রি হিসাবে ঘোষণা করা যায় তারজন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷ বিদ্যালয় শিক্ষাদপ্তর আয়োজিত এই কর্মসূচিতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সচিব পি কে গোয়েল, সেকেণ্ডারী এডুকেশনের অধিকর্তা ইউ কে চাকমা, এলিমেন্টারী এডুকেশনের অধিকর্তা সাজ ওয়াহিদ প্রমুখ৷ এই ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে বিভিন্ন জেলার ডি ই ও, আই এস, অ্যাকাডেমিক কো-অর্ডিনেটর, বিভিন্ন এন জি ও-এর সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন৷


অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ আরও বলেন, রাজ্যে নতুন দিশা কর্মসূচি দারুণভাবে সফল হয়েছে৷ করোনা অতিমারিজনিত কারণে এই সাফল্যের ক্ষেত্রে কিছুটা বাঁধা এসেছে৷ এর থেকে উত্তরণের লক্ষ্যেই নতুন এই কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে৷ তিনি বলেন, রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায় ৪০টি বিভিন্ন ধরণের সংস্কার সাধন করা হয়েছে৷ তা সম্ভব হয়েছে রাজ্যের সকলস্তরের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সামগ্রিক প্রচেষ্টায়৷ বর্তমানে সারা দেশের মধ্যে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা পি জি আই (পারফরম্যান্স গ্রেডিং ইনডে’) অনুসারে গ্রেড-১ এ অবস্থান করছে৷ এক্ষেত্রে আত্ম সন্তুষ্টিতে না ভোগে ছাত্রছাত্রীদের মানুষের মত মানুষ হিসাবে গড়তে যা যা প্রয়োজন তা করে যেতে হবে৷

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, কেবলমাত্র শিক্ষা দপ্তরের মাধ্যমেই যেকোন রাজ্যের দিশা ও দশা পাল্টিয়ে দেওয়া যায়৷ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটর উপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে বার বার শিক্ষা দপ্তরের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন৷ যা এ রাজ্যের শিক্ষক সমাজের প্রাপ্য৷ ছাত্রছাত্রীদের সুুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে দপ্তরের যা যা প্রয়োজন শিক্ষা দপ্তর তাই করবে বলে তিনি সকলকে আশ্বস্ত করেন৷ অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণকারী সকলের সামনে কর্মসূচি অনুযায়ী কি কি করতে হবে তা তুলে ধরা হয়৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *