BRAKING NEWS

ভারতের কাছ থেকে অনেক প্রত্যাশা রয়েছে বিশ্বের : প্রধানমন্ত্রী

নয়াদিল্লি, ৮ ফেব্রুয়ারি (হি.স.): সমগ্র বিশ্বের নজর রয়েছে ভারতের দিকে, ভারতের কাছ থেকে অনেক প্রত্যাশা রয়েছে বিশ্বের। সোমবার রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতির বক্তব্যের জবাবি ভাষণে এই মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতির বক্তব্যের জবাবি ভাষণে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী, যদিও প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য শুরু করা মাত্রই, রাজ্যসভা থেকে ওয়াকআউট করেন তৃণমূল সাংসদরা। জবাবি ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “ভারত প্রকৃতপক্ষে একটি সুযোগের দেশ। আমাদের জন্য অনেক সুযোগ অপেক্ষা করছে, এমন একটি দেশ যা তরুণ, উৎসাহে পরিপূর্ণ এবং এমন একটি দেশ যা স্বপ্নকে দৃঢ় সঙ্কল্পের সঙ্গে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করছে। সমগ্র বিশ্বের নজর রয়েছে ভারতের দিকে, ভারতের কাছ থেকে অনেক প্রত্যাশা রয়েছে এবং প্রত্যাশা করা হচ্ছে পৃথিবীর প্রগতিতে বিশেষ অবদান রাখবে ভারত।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আপনারা নিশ্চয়ই সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখেছেন, একজন বৃদ্ধা ফুটপাথে তাঁর কুঁড়েঘরের বাইরে বসে, হাতে প্রদীপ নিয়ে দেশের মঙ্গল কামনা করছেন। আমরা তাঁকে নিয়ে মজা করছি!  যাঁরা কখনও স্কুলে যাননি, তাঁরা যদি মনে করেন প্রদীপ জ্বালিয়ে দেশের সেবা করতে পারবেন, তাঁদের নিয়েও উপহাস করা হচ্ছে!”
কোভিড-১৯ পরিস্থিতি এবং করোনাকাল দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে নতুন শক্তি জুগিয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। মোদী বলেন, ”যখন পোলিও, গুটিবসন্তের ঝুঁকি ছিল সেই সময়ের সাক্ষী থেকেছে ভারত। ভারত ভ্যাকসিন পাবে কি-না তা কেউ জানত না, অথবা কতজনকে ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে, কিন্তু এখন আমাদের দেশকে বিশ্বের জন্যও ভ্যাকসিন তৈরি করছে। এর ফলে আমাদের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে।” প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘আমাদের গণতন্ত্র পাশ্চত্য নয়। মানবিক প্রতিষ্ঠান। নেতাজির আদর্শকে আমরা ভুলে গিয়েছি। আমরা নিজেদেরকেই অভিশাপ দিতে শুরু করেছি। আমি মাঝেমাঝে অবাক হই, বিশ্ব আমাদের একটি তকমা দিয়েছি, যা অনুসরণ করতে শুরু করেছি আমরা-বিশ্বের মধ্যে বৃহত্তম গণতন্ত্র। এই কথা শুনলে অত্যন্ত ভালো লাগে, কিন্তু আমরা দেশের যুবসমাজকে শিখাইনি যে ভারত গণতন্ত্রের জননী।”
এদিন এমএসপি প্রসঙ্গে কৃষকদের আশ্বস্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “এমএসপি ছিল, এমএসপি আছে এবং এমএসপি সর্বদা থাকবে। পঞ্জাবের সঙ্গে কী হয়েছিল, তা আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত নয়। দেশভাগের সময় পঞ্জাব সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ১৯৮৪ দাঙ্গার সময় সবথেকে বেশি কেঁদেছিল পঞ্জাব। বহু বিয়োগান্তক ঘটনার শিকার হয়েছে পঞ্জাব। জম্মু-কাশ্মীরে নিরপরাধদের হত্যা করা হয়েছে। এর ফলে দেশের প্রভূত ক্ষতি হয়েছে। প্রতিটি শিখের জন্য দেশ গর্বিত। দেশের জন্য তাঁরা কী করেননি? তাঁদের যতটা সম্মান দেওয়া হবে, তা অনেক কমই হবে। নিজেদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময় পঞ্জাবে কাটাতে পেরে আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *