ওয়াশিংটন, ২২ জানুয়ারি (হি. স.) : শপথ নিয়ে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্কের বার্তা দিল জো বিডেন প্রশাসন । এবিষয়ে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন স্যাকি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেন অনেকবার ভারতে গিয়েছেন। ভারত এবং আমেরিকার নেতাদের মধ্যে দীর্ঘকালীন, দ্বিপাক্ষিক এবং সফল সম্পর্কের প্রতি শ্রদ্ধাশীল তিনি। আগামিদিনেও সেই ধারা বজায় রাখতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’
ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলের শেষদিকটা খুব একটা ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ ছিল না। বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে মঝেমধ্যেই কটাক্ষ ছুড়তেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ফলে নয়া জো বাইডেনের আমলে ভারতের প্রতি কীরকম মনোভাব নেওয়া হয়, সেদিকে তাকিয়ে ছিলেন কূটনীতিবিদরা। শুরুটা অবশ্য ভালোই হল। নয়া আমলের দ্বিতীয় দিনেই একেবারে বন্ধুত্বের বার্তা দিল বাইডেন প্রশাসন। দৈনিক সাংবাদিক বৈঠকে একটি প্রশ্নের জবাবে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন স্যাকি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেন অনেকবার ভারতে গিয়েছেন। ভারত এবং আমেরিকার নেতাদের মধ্যে দীর্ঘকালীন, দ্বিপাক্ষিক এবং সফল সম্পর্কের প্রতি শ্রদ্ধাশীল তিনি। আগামীদিনেও সেই ধারা বজায় রাখতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’
শুধু তাই নয়, ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রমাণে ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের প্রসঙ্গও উত্থাপন করে জেন বলেন, ‘প্রথম ভারতীয়-আমেরিকান হিসেবে প্রেসিডেন্ট বা ভাইস-প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব সামলাবেন। এই দেশের সকলের জন্য অবশ্যই একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। একইসঙ্গে আমাদের সম্পর্কের ভিত্তি আরও মজবুত করবে।’
গত নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর কমপক্ষে একবার ফোনে কথা বলেছেন বাইডেন এবং মোদী। আজ (শুক্রবার) থেকে বন্ধুরাষ্ট্রগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে ফোনালাপের মাধ্যমে শুরু করবেন বাইডেন। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে প্রথম কথা বলবেন। সেই তালিকায় মোদীও নিশ্চয়ই থাকবেন বলে ধারণা কূটনৈতিক মহলের।
ইতিমধ্যে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথগ্রহণের পর বাইডেনকে ‘উষ্ণতম অভ্যর্থনা’ জানিয়েছেন মোদী। বাইডেনের আমলে ইন্দো-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নয়া উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার বিষয়েও আশাপ্রকাশ করেন মোদী।