নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা/ বিলোনীয়া, ১ জানুয়ারি৷৷ কল্যাণ পুর থানা এলাকার ঘিলাতলী গ্রামে এসিড পান করে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে ১৪ বছরের এক কিশোরীর৷ কিশোর এটির নাম সোনিয়া জমাতিয়া৷ সে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল৷ তার বাবার নাম বিজয় কুমার জমাতিয়া৷
সংবাদ সূত্রে জানা গেছে ভাত খাওয়ার সময় প্রচন্ড ঝাল লাগায় সে মগে রাখা এসিড জল ভেবে খেয়ে ফেলে৷ তাতে ভয়ানক পরিণতি ঘটে৷ জল ভেবে এসিড খেয়ে ফেলায় ভয়াবহ পরিণতি দেখা দিলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ১৪ বছর বয়সী ওই কিশোরীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷কিশোরীটির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখান থেকে তাকে জিবি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়৷জিবি হাসপাতালে নিয়ে আসা হলেও তাকে শেষ রক্ষা করা যায়নি৷ চিকিৎসাধীন অবস্থায় কিশোরীর মৃত্যু হয়৷ তার মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় গভীর শোকের ছায়া নেমে আসে৷ কিশোরীটি এর বাবা বিজয় কুমার জমাতিয়া জানান ঘরের ভিতরে একটি এই এসিড রাখা ছিল লতাপাতা মারার জন্য৷ তার মেয়ে ভুলবশত সেই এসিড জল মনে করে পান করে ফেলে৷ তাতেই বিপত্তি দেখা দেয়৷ অকালে মেয়ের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন মা-বাবাসহ আত্মীয়-পরিজন৷ পরিবারের লোকজনদের অসাবধানতার কারণেই এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা গিয়ছে৷
এদিকে, নিজের গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আত্মহত্যার পথ বেছে নিল পঁয়তাল্লিশ বছরের এক গৃহবধূর৷ গৃহবধূর নাম মীরা দাস৷ ঘটনা আজ বিকেলে বিলোনিয়া থানাধীন জীরতলী এলাকায়৷ এই মৃত্যকে ঘিরে এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য ও শোকের ছায়া নেমে আসে৷
মৃত গৃহবধূ মীরা দাসের পরিবার স্বামী , ভাসুর সহ ছেলের দাবি কোন ঝগড়া বিবাদ ছিল না৷ ক্ষেত থেকে আচমকা বাড়িতে এসে ঘরের পেছনে গিয়ে সবার অলক্ষ্যে গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়৷ গৃহবধূর দেওর সুবল দাস বাড়িতে ঢুকে ঘরের পেছনে আগুনের ধোঁয়া দেখতেই, কে আগুন ধরিয়েছে বলে ঘরের পেছনে ছুটে যাওয়ার পর বৌদি মীরা দাসের এ অবস্থা দেখে হতবাক হয়ে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে৷ সাথে সাথে ঘর থেকে বেরিয়ে আসে মৃত গৃহবধূর ছেলে রুপেল দাস৷ খবর দেওয়া স্বামী নিতাই দাস সহ বড় ভাইকে৷ এরপর খবর দেওয়া হয় বিলোনিয়া অগ্ণিনির্বাপক দপ্তরে৷ অগ্ণিনির্বাপক দপ্তর পৌছাবার আগেই বাড়ির পরিবারের লোকেরা অগ্ণি দগ্দ অবস্থায় বিলোনিয়া হাসপাতালে নিয়ে আসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মীরা দাসকে মৃত বলে ঘোষণা করেন৷
সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের সামনে মৃত গৃহবধূ মীরা দাসের স্বামী নিতাই দাস জানায় , আখ ক্ষেতে কাজ করার সময় মীরা দাস নাকি বলে পেটের বেথা করছে আমাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে দেখাও৷ নিতাই দাস নাকি স্ত্রীকে বলে বাড়িতে চল৷ স্বামীর আগেই বাড়িতে এসে ,ছেলেকে বলে আমি বাইরে যাচ্ছি বলে এ ঘটনা বলে দাবি করেছে৷