নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৩ মার্চ৷৷ ছবিমুড়া-কে প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান হিসেবে যুক্ত করার জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে৷ তাছাড়া, ত্রিপুরায় আরও চারটি নতুন স্থান খনন করার জন্য চিহ্ণিত করা হয়েছে৷ সেখানে হিন্দু কিংবা বৌদ্ধ সংসৃকতির প্রমাণ মিলবে বলে ধারণা করছে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া-র (এএসআই) ত্রিপুরা সাব-সার্কল৷ সহকারী প্রত্নতত্ত্ববিদ এম জ্যাকসন জানিয়েছেন, চারটি স্থান বাছাই করা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু এখনও চূড়ান্ত হয়নি৷
হিন্দুস্থান সমাচার-এর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে এএসআই ত্রিপুরা সাব-সার্কলের সহকারী প্রত্নতত্ত্ববিদ বলেন, ত্রিপুরায় আটটি স্থানে এএসআই-এর সরাসরি তত্ত্বাবধানে রয়েছে৷ পিলাক, ঊনকোটি, উদয়পুর, অমরপুর, বক্সনগর মিলিয়ে মোট আটটি স্থানের রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে৷
তাঁর কথায়, জম্পুই পাহাড়ে ভাংমুনে সমাধিস্থল পাওয়া গিয়েছে৷ সেখানে কিছু হাঁড় উদ্ধার হয়েছে৷ এতে ধারণা করা হচ্ছে, ওই সমাধিস্থল ১৬ কিংবা ১৭ শতকের সমসাময়িক হবে৷ তিনি বলেন, ওই নমুনা দিল্লিতে পাঠানো হয়েছে৷ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এর সঠিক সময় জানা যাবে৷ তাঁর দাবি, খুব শীঘ্রই রিপোর্ট হাতে আসবে৷ সাথে তিনি যোগ করেন, অমরপুরে তিনটি মন্দির রয়েছে৷ ১ নম্বর মন্দির, ২ নম্বর মন্দির এবং ৩ নম্বর মন্দির হিসেবে মন্দিরগুলিকে চিহ্ণিত করা হয়েছে৷ কারণ ওই মন্দিরের সরাসরি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য দিল্লিতে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে, বলেন তিনি৷
এম জ্যাকসন বলেন, এখন নতুন করে ছবিমুড়া-কে প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান হিসেবে যুক্ত করার প্রস্তাব দিল্লিতে পাঠানো হয়েছে৷ কারণ, ছবিমুড়ার দেব-দেবীর মূর্তিগুলি রক্ষণাবেক্ষণের যথেষ্ট প্রয়োজনীয়তা রয়েছে৷ তাঁর দাবি, ওই প্রস্তাবের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছি৷ তিনি আরও বলেন, দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার জোলাইবাড়ি ব্লকের অধীনে মজুমদার টিলা, সূর্য পাহাড় এবং রুপাইছড়ি ব্লকের অধীনে চালিতা-বনকুলে দুটি স্থানে খননের জন্য চিহ্ণিত করা হয়েছে৷