নিজস্ব প্রতিনিধি, চড়িলাম, ২৯ জানুয়ারী৷৷ বিশালগড় থানার পুলিশের সঙ্গে চোর-ডাকাতদের সখ্যতার অভিযোগ দীর্ঘদিনের৷ ফের আরও একবার আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল গরু চোরদের সঙ্গে বিশালগড় থানা বাবুদের সখ্যতা কেমন৷
ঘটনার বিবরণে জানা যায় ডিসেম্বর মাসের ১০ তারিখ বিশালগড় থানাধীন লাল সিং মুড়া মানবকিলা এলাকার দুই বাড়ি থেকে এক রাতে পাঁচটি গরু চুরি হয়ে যায়৷ পরদিন সকালবেলা বাড়ির মালিক বিশালগড় থানায় এসে ঘটনার বিবরণ জানিয়ে এন্টি করেন৷ এরপর থেকে বাড়ির মালিক খোঁজাখুঁজি করে জানতে পারেন এলাকার তিনজন গরুচোর এবং সোনামুড়া সীমান্তএলাকার কয়েকজন সঙ্গীদের নিয়ে এখান থেকে গরু চুরি করে সোনামুড়া বঢ়ডেপার বাসিন্দা ইদ্রিস মিয়ার বাড়িতে রাখেন৷ ঘটনাটি গরুর মালিক বিশালগড় থানায় জানায়৷
কিন্তু বিশালগড় থানা পাত্তা দিতে নারাজ ছিলেন৷ অবশেষে গরুর মালিক সুনামুরা থানায় গিয়ে ঘটনার বিস্তারিত জানান এবং বিশালগড় থানার সঙ্গে যোগাযোগ করেন৷ চুরির হওয়ার পাঁচ দিন পর ১৫ ডিসেম্বর সুনামুরা ইদ্রিস মিয়ার বাড়ি থেকে পুলিশ গিয়ে দুইটি গরু উদ্ধার করেন৷ আর বাকি তিনটি খুঁজে পাননি৷ এদিকে লালসিংমুরা এলাকার চোরদের সম্পর্কে গরুর মালিকের কাছে যে লোকটি তথ্য দিয়েছিলেন এবং যার তথ্যের ভিত্তিতে দুটি গরু উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে সেই লোকটিকে অভিযুক্তরা হুমকি দিতে থাকেন৷ কোন উপায় না পেয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলাও করেন৷
সবচেয়ে তাজ্জবের বিষয় ঘটনার ৪৫ দিন অতিক্রান্ত হয়ে গেল আজ পর্যন্ত বাকি তিনটি গরু উদ্ধার কিংবা চোরদের সম্পর্কে যে সমস্ত তথ্য তাদের কাছে ছিল তাদেরকে গ্রেপ্তার তো দূরের কথা থানায় এনে ন্যূনতম জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজন বোধ করেননি বিশালগড় থানার পুলিশ৷
প্রশ্ণ উঠছে যেখানে পাঁচটি গরু চুরি হয়ে গেল দুইটি গরু উদ্ধার করতে পেরেছেন পুলিশ এবং চোরদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নিয়ে অভিযোগ থানায় করা হয়েছে যার মামলা নম্বর বিশালগড় থানা ১৪১/১৯৷ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৯/৪১১ ধারা৷ প্রশ্ণ হল সোনামুড়া সীমান্ত ইদ্রিস মিয়ার বাড়িতে দুটি করে উদ্ধার হলেও এগুলো এখানে কিভাবে গেল কারা নিয়ে গেল, আর বাকি তিনটি গরু কোথায়, সেই বিষয়ে পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেনি বলে অভিযোগ৷ উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও বিশালগড় এলাকার গরু চোর দের সম্পর্কে পুলিশ এত নিষ্ক্রিয় কেন এই নিয়ে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় বইছে সমগ্র বিশালগড় জুড়ে৷