নয়াদিল্লি, ৩ জানুয়ারি (হি.স.) : ম্যাগিতে রয়েছে বিষাক্ত সিসা। সুপ্রিমকোর্টে এই কথা মেনে নিল নেসলে। বৃহস্পতিবার এক মামলার শুনানিতে নেসলে ইন্ডিয়ার আইনজীবী ম্যাগিতে সিসার উপস্থিতির কথা স্বীকার করে নেন।

ফের বিপাকে ম্যাগি-র নির্মাতা সংস্থা নেসলে ইন্ডিয়া। সুপ্রিম কোর্ট ন্যাশনাল কনজিমার ডিসপিউটস রিড্রেসাল কমিশন বা এনসিডিআরসি-তে কেন্দ্রীয় সরকার ম্যাগির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছিল, তার ফের শুনানি চালু করেছে। এই মামলায় বেআইনিভাবে ব্যবসা করা, ভুল তথ্য ভরা প্রচার ও মিথ্যে বিজ্ঞাপনের জন্য ম্যাগি প্রস্তুতকর্তা নেসলে ইন্ডিয়ার কাছে ৬৪০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়। ২০১৫-র শেষে শীর্ষ আদালত এই মামলায় স্থগিতাদেশ দেয়, মাইসোরের সেন্ট্রাল ফুড টেকনোলজিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট বা সিএফটিআরআই-কে বলে, ম্যাগির নমুনা পরীক্ষা করে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য।
এই বিষয়ে বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে নেসলে ইন্ডিয়ার হয়ে সওয়াল করেন অভিষেক মনু সিংভি। তিনি বলেন, ম্যাগির নমুনা পরীক্ষা করে কেন্দ্রীয় ল্যাবরেটরি জানিয়েছে, ম্যাগি নুডলসে সীসা আছে নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে। কিন্তু এই আশ্বাসে হিতে বিপরীত হয়। বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও হেমন্ত গুপ্তের বেঞ্চ প্রশ্ন করে, সীসা দেওয়া ম্যাগি আমরা খাব কেন? কেন্দ্রীয় সরকারের হয়ে দাঁড়ানো অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল বিক্রমজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ল্যাবের রিপোর্ট যখন পাওয়াই গিয়েছে তখন এই মামলার শুনানি আবার এনসিডিআরসি-তে যাওয়া উচিত। সেই সওয়াল মেনে নিয়ে শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, কেন্দ্রীয় ল্যাবরেটরির রিপোর্টের ভিত্তিতে এনসিডিআরসি-তে হবে ম্যাগি মামলার শুনানি।
যদিও অভিষেক মনু সিংভি ও আর এক আইনজীবী অরবিন্দ দাত্তার এই মামলা আবার এনসিডিআরসি-তে ফেরত পাঠানোর বিরোধিতা করেন। তাঁদের বক্তব্য, ম্যাগিতে যে সীসা রয়েছে তা দেখা যাচ্ছে, নির্ধারিত সীমার মধ্যেই, তাছাড়া আরও কিছু খাদ্যে সীসা রয়েছে। অতএব এর পরে এনসিডিআরসি-র এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কিছু থাকে না। কিন্তু শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, এনসিডিআরসি-র কাজে তারা হস্তক্ষেপ করবে না, ল্যাব রিপোর্ট পাঠানো হবে কমিশনে, তারাই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।