
মঙ্গলবার মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর বলেন, পাঠ্যসূচীতে জরুরি অবস্থার পুরো অধ্যায়টিকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। সেই সময় কি ঘটেছিল তা পড়ুয়াদের জানা উচিত। আর তাই জরুরি অবস্থার অধ্যায়টিকে দ্বিতীয় স্বাধীনতা সংগ্রাম হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। আমাদের পাঠ্যসূচীতে জরুরি অবস্থা নিয়ে কয়েকটি অধ্যায় এবং অনুচ্ছেদ রয়েছে। তা ফের পুনঃমূল্যায়ন করতে হবে। আগামী প্রজন্মের জন্য গণতন্ত্রের উপর এই আক্রমণের অধ্যায়কে পাঠ্যসূচীতে আরও বেশি মাত্রায় ও বিশদে যুক্ত করা হবে।
জরুরি অবস্থার স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী বলেন, বিজেপির কাছে দেশ আগে, তারপর দল, শেষে নিজে। কিন্তু কংগ্রেসের কাছে নিজে আগে, দল তারপর এবং দেশ সবার শেষে। সংবাদমাধ্যম এবং বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতার বিষয়ে কিছু বলার আগে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর উচিত ক্ষমা চাওয়া।
জরুরি অবস্থার সময় জন সঙ্ঘের কর্মীদের আত্মত্যাগের কথাও উল্লেখ করেন মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। তিনি জানিয়েছেন, কংগ্রেস মুক্ত ভারতের আহ্বান যা বিজেপি তুলেছে তার মধ্যে মূল্যবোধ জড়িয়ে রয়েছে। জনগণের স্বার্থও জড়িয়ে রয়েছে।
মিসা আইন প্রয়োগ করে ১৯৭৫ সালের ২৬ শে জুন জরুরি অবস্থা জারি করে সেই সময় কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকা কংগ্রেস। জাতির উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী জরুরি অবস্থার ঘোষণা করেন। ১৯৭৭ সালের মার্চ পর্যন্ত এই জরুরি অবস্থা জারি করে ছিল। এতগুলো বছর কেটে গেলেও জরুরি অবস্থা আজও কংগ্রেসের রাজনৈতিক ইতিহাসে কলঙ্কের মতো রয়ে গিয়েছে। এবার এই ঘটনাগুলিই এবার পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে।