নয়াদিল্লি, ১৮ আগস্ট (হি.স) : ভারত-চিন সীমান্ত সমস্যার ব্যাপারে ‘আলটপকা’ মন্তব্য করা থেকে যেন বিরত থাকে জাপান | ডোকলাম ইস্যুতে ভারতের হয়েই সওয়াল করেছিল জাপান । ভারতে নিযুক্ত জাপানী রাষ্ট্রদূত কেঞ্জি হিরামাতসু সাংবাদিকদের জানিয়েছেন যে ‘একতরফাভাবে বলপ্রয়োগ করে স্থিতাবস্থা পরিবর্তন করার প্রচেষ্টা চলছে’।তিনি জানান যে জাপান বুঝতে পারছে বিতর্কিত ডোকলাম অঞ্চলকে নিয়ে চিন এবং ভুটানের মধ্যে বিবাদ চলছে এবং দুই রাষ্ট্রই মেনে নিয়েছে যে ওই অঞ্চলটি বিতর্কিত । তিনি জানান যে একতরফাভাবে বলপ্রয়োগ করে এই সমস্যার সমাধান করা যাবে না । ডোকলাম ইস্যুতে যুক্ত থাকা সবপক্ষের কথা শুনতে হবে ও আলোচনার মাধ্যমেই এর শান্তিপূর্ণ সমাধান করতে হবে ।
এরপরই চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চ্যুনিংয়ের প্রতিক্রিয়া, ভারতে জাপানি রাষ্ট্রদূত যে ভারতকে সত্যিই সমর্থন করেছেন, দেখেছি। আমি শুধু তাঁকে প্রাসঙ্গিক তথ্য, নথি খতিয়ে না দেখে যা খুশি বলা থেকে বিরত থাকতে বলছি। ডোকালাম এলাকায় এলাকাগত কোনও বিতর্কই নেই। ওখানকার সীমান্ত নির্ধারিত হয়েই আছে, দু পক্ষই তা মেনে নিয়েছে। বেআইনি ভাবে সীমানা পেরিয়ে স্থিতাবস্থা ভাঙার চেষ্টা চিন নয়, ভারতই করেছে। চ্যুনিংয়ের আরও বক্তব্য, সঙ্কট কাটাতে যে কোনও অর্থবহ আলোচনার পূর্ব শর্তই হল, নিঃশর্তে আগে ভারতকে ডোকালাম থেকে সেনা সরাতে হবে।
প্রসঙ্গত, জাপানই প্রথম দেশ যারা ডোকালাম বিতর্কে প্রকাশ্যে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে ভারতকে সমর্থন জানিয়েছে।
কিছুদিন আগে ভারতের বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ জানিয়েছিলেন যে ডোকলাম ইস্যুতে ভারত আলোচনা চালিয়ে যাওয়া আগ্রহী । যেকোন কূটনৈতিক উপায়ে এই আলোচনার পক্ষে সওয়াল করেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এবং এর শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য বারবার দাবি জানিয়ে আসছিল ভারত । ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল যে সবপক্ষই ডোকলাম থেকে সেনা সরিয়ে নিক । কিন্তু চিন তাতে রাজি নয় । পাল্টা চিনের দাবি ছিল ভারত শুধু সেনা সরিয়ে নিক ওই অঞ্চল থেকে ।
উল্লেখ্য ওই অঞ্চলে চিন সেনাবাহিনী রাস্তা তৈরি করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল । যেটার প্রতিবাদ ভারতের সহযোগী দেশ ভুটান করেছিল । পাশাপাশি ভারতের চিন্তা ছিল যে ওই এলাকায় চিন রাস্তা তৈরি করে নিলে ভারত এবং ভুটানের সীমান্তের নিরাপত্তা ক্ষুণ্ণ হতে পারে ।