বাধারঘাটে গোদামে বিধবংসী অগ্ণিকান্ড ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১১ জুলাই৷৷ ঘড়ির কাটায় তখন আনুমানিক রাত ১২.৩০ মিনিট৷ আচমকা দাউদাউ করে গুদামে জ্বলে উঠে আগুন৷ বিধবংসী অগ্ণিকান্ডটি সোমবার রাতে বাধারঘাট আলুর গুদামে৷ তবে বর্তমানে গুদামঘরে ইলেকট্রনিক সামগ্রী মজুত রাখা হয়৷ বিশাল এলাকাজুড়ে গুদামটি রাতে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মীরা উধাও৷ বিধবংসী অগ্ণিকান্ডে ঘরের ইলেকট্রনিক সামগ্রী ফেটে মুহূর্তে গোটা গুদাম গ্রাস করে৷ সার্টার লাগানো ঘরে গাড়িটিও পুড়ে ছাই৷ খবর পেয়ে ও এন জি সি থেকে দুটি দমকল ইঞ্জিন ছুটে আসলেও আগুন নিয়ন্ত্রন করতে ব্যর্থ হয়েছে৷ রাতেই বাধারঘাট এবং আগরতলা স্টেশন থেকে আরো ৫টি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন অন্যত্র ছড়ানোর রাস্তা বন্ধ করে দেয়৷ মূহুর্তেই কালো ধোয়ার বাধারঘাট তৎসংলগ্ণ এলাকায় ছড়িয়ে পড়তেই আগুনাতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে জনমনে৷ রাত গড়িয়ে সকাল প্রায় দশটায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে৷ ইলেকট্রনিক সামগ্রী মজুত থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পোহাতে হয়েছে বলে জানিয়েছে দমকল কর্মীরা৷ গুদাম ঘরগুলির মধ্যে সরকারী এবং বেসরাকারী মালপত্র মজুত ছিল৷ মঙ্গলবার সকালে পরিস্থিতি তদারকি করতে ছুটে যান সদর এস ডি এম সুমিত রায় চৌধুরী সহ প্রশাসনের একটি টিম৷ অগ্ণিকান্ডের সূত্রপাত নিয়ে ধোঁয়াশার কথা জানিয়েছেন মহকুমা শাসক৷ প্রাথমিক অনুমান কয়েক কোটি টাকা ছাপিয়ে যাবে ক্ষয়ক্ষতি৷ রাতে সিকিউরিটি গার্ড কোথায় ছিল? সাটার বন্ধ গুদামে টিআর০১-১৫৬৫ নম্বরের গাড়ি কেন? অগ্ণিকান্ডের খবর পেয়ে ইলেকট্রনিক সামগ্রীর মালিকরা তড়িঘড়ি আসেনি গোটা বিষয় প্রশাসনিকভাবে খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন এস ডি এম৷ অল্পেতে রক্ষা পেয়েছে জনবহুল এলাকা৷ দমকল কর্মীদের প্রাণপ্রন চেষ্টায় বিধবংসী আগুন গুদাম ছাড়িয়ে পাশ্ববর্তী এলাকায় বাড়ি-ঘড়ে গ্রাস করেনি৷ অল্পবিস্তর ক্ষয়ক্ষতি হলেও স্বস্তির দীর্ঘশ্বাস ফেলে আগুন আয়ত্বে আসায় স্থানীয়রা৷ লেলীহান অগ্ণিশিখার আতঙ্কের ছাপ এখনো ভুলতে পারছে না এলাকাবাসী৷