নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৭ জুন৷৷ টানা বর্ষণে শহর আগরতলা জলমগ্ণ হয়ে পড়া নতুন কোন ঘটনা নয়৷ স্বাভাবিকভাবেই গত দু’দিনের বৃষ্টি আগরতলার আনাচে কানাচে জলে টই টুম্বুর৷ শনিবার ঘূর্ণিঝড়ে হেজামারায় মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে৷ ১২টি ঘর ভেঙ্গে চুড়মার হয়ে গেছে৷ তাছাড়া, দু’জন গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন৷ বিদ্যুৎ পরিষেবাও বিঘ্নিত হয়েছে পরিবাহী তারে গাছের ঢালপালা ভেঙ্গে পড়ায়া৷ অনেক জায়গায় বিদ্যুতের খঁুটি পড়ে গেছে৷
কিন্তু, সবচেয়ে চিন্তার বিষয় হল, আগামী কয়েকদিনও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে৷ তাতে রাজধানী আগরতলা জলের তলায় ডুববে, তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই৷ কিন্তু, টানা ভারি বর্ষণে রাজ্যের কয়েকটি প্রান্তে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে, মৌসম বিভাগ সূত্রে এমনই আভাষ মিলেছে৷
সূত্রটি জানিয়েছে, রবিবার দিনভর ছিটেফোঁটা বৃষ্টিপাত হবে৷ দিনে ৮ এমএম এবং রাতে ৫ এমএম বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে৷ একইভাবে সোমবারও বৃষ্টিপাত হবে৷ তবে, রবিবারের তুলনায় সোমবার বৃষ্টিপাতের পরিমান বেশি হওয়ার সম্ভাবনা হয়েছে৷ সোমবার দিনে ১১ এমএম এবং রাতে ১০ এমএম বৃষ্টিপাত হতে পারে৷ সূত্রটির দাবি, আগামী সপ্তাহে সর্বাধিক বৃষ্টিপাত হবে মঙ্গলবার৷ দিনে ৫৭ এমএম এবং রাতে ২৪ এমএম বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷ সাথে বজ্রপাতও হবে৷ সূত্রটি জানিয়েছে, মঙ্গলবার সারাদিনে মোট ১৪ ঘন্টা বৃষ্টিপাত হবে৷ একইভাবে বুধবারও দিনে ১০ এমএম এবং রাতে ৯ এমএম বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷ মৌসম বিভাগের সূত্রটির দাবি, মঙ্গলবারের পর বৃহস্পতিবারও ভারি বৃষ্টিপাত হবে৷ ঐদিন দিনে ১৩ এমএম এবং রাতে ২১ এমএম বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে৷ একইভাবে শুক্রবারও দিনে ১৬ এমএম এবং রাতে ৫৬ এমএম বৃষ্টিপাত হতে পারে৷ আগামী শনিবার দিনে ৯ এমএম এবং রাতে ১৮ এমএম বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷ আগামী সাত দিনের মধ্যে সবচেয়ে শীতলতম দিন হতে পারে শনিবার৷ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে৷ বাকি দিনগুলিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩ এবং সর্বানিম্ন ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে উঠানামা করবে৷
এদিকে, টানা বর্ষণে আগরতলায় কিছু কিছু এমন জায়গা রয়েছে যেখানে আগে কখনো জল জমেনি৷ সেখানেও রাস্তাঘাট জলমগ্ণ৷ জল নিস্কাশনে পুর নিগম জোর তৎপরতা চালিয়েছে৷ নিগমের মেয়র ড প্রফুল্লজিৎ সিনহা জানিয়েছেন, শহরে মোট ১২ টা পাম্প মেশিন জল নিস্কাশনের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে৷ বোধজং সুকলে এবছর একটি পাম্প মেশিন বসানো হয়েছে৷ তাতে বোধজং চৌমুহনীতে রাস্তায় যে জল জমে তা নিস্কাশনে দ্রুত কাজ হচ্ছে৷ তিনি জানিয়েছেন, ঐ এলাকায় আরো একটি ড্রেন নির্মাণ করার পরিকল্পনা চলছে৷
2017-06-18

