সরকার এখনই কিছু করতে পারবে না, টেটের জন্য অপেক্ষাই করতে হবে বিএড পড়ুয়াদের

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩ জুন৷৷ অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোন পথ খুলা রইল না চূড়ান্তবর্ষে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া বিএড পড়ুয়াদের কাছে৷ আইনী জটিলতার কারণ দেখিয়ে বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তর জানিয়ে দিয়েছে, বিএড’র চূড়ান্ত পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার পর আরও একবার এসটিজিটি এবং এসটিপিজিটি পরীক্ষা গ্রহণের জন্য টিআরবিটি’কে আনুরোধ জানাবে শিক্ষা দপ্তর৷ রাজ্য সরকার বিএড প্রশিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ক্ষুব্ধ, তাও জানিয়েছে৷
শনিবার এক বৃিতিতে বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তর জানিয়েছে, রাজ্যের কিছু সংখ্যক বিএড প্রশিক্ষার্থী যারা চূড়ান্তবর্ষের পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা গত ২৯ শে মে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন এবং দাবী করেন যে সুপ্রীম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে শিক্ষক নিয়োগের জন্য টিচার্স রিক্রুটমেন্ট বোর্ড, ত্রিপুরা(টি আরবি টি) কর্তৃক গত ২৭ শে মে যে নোটিফিকেশন জারী করা হয়েছে তাতে নবম-দ্বাদশ স্তরের জন্য শিক্ষক নিয়োগের সময়সীমা আরও বৃদ্ধি করতে হবে৷ শিক্ষামন্ত্রী তাদেরকে বলেন যে, টি আর বি টি পরিচালিত প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণীস্তরের শিক্ষক নিয়োগের জন্য টেট এবং নবম -দ্বাদশ শ্রেণী স্তরের শিক্ষক নিয়োগের জন্য (এস টি জি টি, এস টি পি জি টি)- এই দুটি স্তরের জন্য যে সময় সীমা নিদির্ষ্ট করা হয়েছে আইনগতভাবে তা বৃদ্ধি করা সম্ভব নয়৷
গত ৩০ মে রাজ্য শিক্ষা দপ্তর উক্ত বিষয় নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের সভা করে এবং সভায় এই সিদ্ধান্তের উপনীত হয় যে, এস টি জি টি এবং এস টি পি জি টি -দের জন্য সময়সীমা বৃদ্ধির কোন সুযোগ আইনত নেই এবং আরও সিদ্ধান্ত হয় যে, বিএড-এর চূড়ান্ত পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার পর আরও একবার এস টি জি টি এবং এস টি পি জি টি পরীক্ষা গ্রহণ করার জন্য টি আর বি টি -কে অনুরোধ জানানো হবে৷ শিক্ষা দপ্তরের এই সিদ্ধান্তটি বিদ্যালয় শিক্ষা অধিকর্তার মাধ্যমে ঐ দিনই প্রশিক্ষণার্থীদের প্রতিনিধিগণকে জানিয়ে দেওয়া হয়৷
কিন্তু রাজ্য শিক্ষা দপ্তর এটা দেখে বিস্মিত যে, বিএড পড়ুয়া শিক্ষার্থীগণ সরকারের এই ইতিবাচক সিদ্ধান্ত মেনে বিগত ২ জুন শিক্ষা ভবন যেখানে পাঁচটি ডাইরেক্টোরেট ও টি আর বি টি রয়েছে তাকে অবরোধ তৈরী করে কার্যত অচল করে রাখে৷
এই ঘটনার জন্য রাজ্য শিক্ষা দপ্তর তীব্র অসন্তোষ ব্যক্ত করছে৷ এই বিষয়ে রাজ্যের জনগণ যাতে কোন প্রকার বিভ্রান্তির শিকার না হন তারজন্য সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে বিদ্যালয়শিক্ষা দপ্তর অনুরোধ জানাচ্ছে৷