বধূ হত্যা, স্বামী ও শ্বশুড়বাড়ির সদস্যরা পলাতক, থানায় মামলা

নিজস্ব প্রতিনিধি, চড়িলাম, ৯ মে৷৷ মঙ্গলবার দুপুরে আমতলী থানার অন্তর্গত ফুলতলী এলাকায় মৃত্যু হয় এক গৃহবধূর৷ অভিযোগের তীর মৃতার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে৷ মৃতা গৃহবধূর নাম হাসিনা বেগম৷ বয়স ত্রিশ৷ মৃতার ভাই হাবিবুর রহমান অভিযুক্ত পরিবারের চারজনের  নামে আমতলী থানায় খুনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷ অভিযুক্ত চারজন হল স্বামী  বাবুল মিয়া(৪০), শ্বাশুড়ি আয়েসা বেগম, শ্বশুর আবুল বাসার এবং দেবর শাহআলম মিয়া৷ মৃতা গৃহবধূর ভাই হাবিবুর জানায় গত ১০ বছর আগে ফুলতলীর এলাকায় আবুল বাসারের ছেলের সঙ্গে বিশালগড়স্থিত  নোয়াপাড়ার নানু মিয়ার মেয়ের সামাজিক রীতি মেনে বিয়ে হয়েছিল৷ বিয়ের কয়েক বছর দাম্পত্য জীবন  সুখের হলেও দুতিন ব ছর পর থেকেই শুরু হয়ে হাসিনার জীবনে ঘোর অন্ধকার৷ পেশায় ব্যবসায়ী স্বামী বাবুল মিয়া জড়িয়ে পড়ে পরকীয়া প্রেমে৷ দিন দিন অত্যাচারের মাত্রাও বেড়ে চলছি হাসিনার উপর৷ মৃতার ভাই হাবিবুর জানায়, বোনের মৃত্যুর মূল কারণ তার স্বামী পাশ্ববর্তী এক যুবতীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত হয়৷ গত কিছুদিন ধরে বাড়িতে প্রকাশ্য আলোচনা চলছিল বাবুল পাশ্ববর্তী  ঐ যুবতীকে বিয়ে করবে৷ যদিও বাবুলের মা ও বাবা  এবিষয়ে প্রশ্রয় দিয়েছেন বলে অভিযোগ৷ পার্শ্ববর্তী এলাকায় ঐ যুবতীকে বিয়ে করে ঘরে তুলবে বলে তার স্ত্রীকে জানান৷ স্ত্রী হাসিনা তাদের কথায় রাজি না হ ওয়ায় সোমবার সারা রাত বেদম মারধর করা হয় তাকে৷ এলাকাবাসীর অভিযোগ মঙ্গলবার দুপুরে গলায় ওড়না দিয়ে প্যাঁচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে মেরে ফেলা হয়েছে ঐ গৃহবধূকে৷ তারপর তাকে ঘরের সিলিংয়ের সঙ্গে ফাঁসিতে  ঝুলিয়ে দেয়া হয়৷ হাসিনার মৃত্যু নিশ্চিত করে নাটকীয়ভাবে শ্বশুর আবুল বাসার হাঁপানিয়া হাসপাতালে নিয়ে যান৷  কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন৷ কিন্তু এও বলেন অনেক আগেই তার মৃত্যু হয়েছে৷ মৃতার ৮ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে৷  জানা গেছে অভিযুক্তরা পলাতক৷ বুধবার মৃতা গৃহবধূর মৃতদেহ ময়না তদন্ত করে বাপের বাড়ির লোকজনের হাতে তুলে দেবে বলে জানা গেছে৷