জিরিবামে “ধরতি আবাদ অভিযান” পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত

জিরিবাম, ২৪ জুন: জিরিবাম জেলায় আজ “ধরতি আবাদ জনজাতীয় গ্রামীণ বিকাশ অভিযান” -এর অগ্রগতি নিয়ে একটি পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাটি জেলা উপায়ুক্ত কৃষ্ণ কুমার, আইএএস-এর সভাপতিত্বে জেলা উপায়ুক্ত কার্যালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত হয়। এই অভিযানটি ভারতের আদিবাসী বিষয়ক মন্ত্রকের উদ্যোগে একটি সর্বভারতীয় প্রচেষ্টা, যার মূল উদ্দেশ্য হলো আদিবাসী অঞ্চলে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে দেওয়া এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা।

উপায়ুক্ত কৃষ্ণ কুমার জানান, ১৬ জুন থেকে শুরু হওয়া এই সপ্তাহব্যাপী ক্যাম্পেইন জিরিবাম জেলার ছোতবেখরা ও ভুতাংখালসহ বিভিন্ন আদিবাসী গ্রামে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ১৫ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত এই অভিযান চলবে। তিনি বলেন, এই অভিযান একটি সময়সীমাবদ্ধ মিশন যা সরকারি পরিষেবার সম্পূর্ণ কভারেজ নিশ্চিত করার পাশাপাশি আদিবাসী অঞ্চলের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন এবং জনগণের সার্বিক ও টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে পরিচালিত হচ্ছে।

সভায় উপায়ুক্ত সংশ্লিষ্ট সমস্ত দপ্তরকে দ্রুততার সঙ্গে সেবাদান নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন এবং আগামী কর্মসূচির জন্য পরিকল্পনা জমা দিতে বলেন। পরবর্তী আউটরিচ প্রোগ্রাম ২৫ জুন ছোতবেখরা গ্রামে এবং ২৮ জুন জাইরোলপোকপি গ্রামে অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে প্রথম ধাপের কার্যক্রম ১৬ জুন ছোতবেখরাতে এবং ১৭ জুন ভুতাংখালে সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

অভিযানে প্রচারিত সরকারি প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ), প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা, জল জীবন মিশন, ঘরোয়া বিদ্যুৎ সংযোগ, অফ-গ্রিড সৌর শক্তি প্রকল্প এবং নতুন সৌর বিদ্যুৎ কর্মসূচি। পাশাপাশি, বন অধিকার আইন, ২০০৬ অনুযায়ী অধিকার প্রদান, প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন, জাতীয় সিকল সেল মিশন, সমগ্র শিক্ষা অভিযান, আঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের পরিষেবা, স্কিল ইন্ডিয়া মিশন এবং প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদা যোজনার মতো স্বাস্থ্য ও জীবিকা সংক্রান্ত প্রকল্পগুলোও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

জেলার প্রশাসন এই অভিযানের সফল বাস্তবায়নের জন্য তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে এবং আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের লক্ষ্যে সেবাদানের ব্যবধান দূর করতে নিরবিচারে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে।