বর্ষাকালে খাদ্যসংকটের আশঙ্কা নেই, মিজোরাম ও সিকিমে চাল মজুদের বিশেষ উদ্যোগ

আইজল / গ্যাংটক, ০৮ জুন : বর্ষার সময় সম্ভাব্য পরিবহন সমস্যার মধ্যেও মিজোরামে খাদ্যশস্যের কোনো ঘাটতি হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যের খাদ্য, অসামরিক যোগান ও ভোক্তা বিষয়ক দপ্তরের সচিব তেরেসা ভানলালরুয়াই। তিনি জানান, রাজ্যের সমস্ত সরকারি গুদামঘরে পর্যাপ্ত পরিমাণ চাল মজুদ রয়েছে।

বর্ষার সম্ভাব্য পরিবহন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় ভোক্তা বিষয়ক, খাদ্য ও জনবণ্টন মন্ত্রকের সহযোগিতায় মিজোরাম সরকার জুন, জুলাই ও আগস্ট মাসের তিন মাসের রেশন চলতি মাসেই আগাম সরবরাহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এই অগ্রিম বিতরণ মূলত জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের অধীনে অন্তর্ভুক্ত অন্ত্যোদয় অন্ন যোজনা ও প্রাধান্যপ্রাপ্ত গৃহস্থালী উপভোক্তাদের জন্য।

অন্যদিকে, সিকিমের মানগান জেলার খাদ্য ও অসামরিক যোগান দপ্তরও বর্ষা শুরুর আগেই দূর্গম ও উচ্চভূমি অঞ্চলে রেশন পৌঁছে দিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। লাচেন গ্রামের উপভোক্তাদের জন্য আগাম চাল বিতরণ শুরু হয়েছে।

কেন্দ্রীয় খাদ্য ও জনবণ্টন মন্ত্রকের নির্দেশ অনুসারে, দেশের সব রাজ্যকে ৩০ জুন, ২০২৫-এর মধ্যে তিন মাসের চাল উত্তোলন ও বিতরণ সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মানগান জেলার জেলা অসামরিক যোগান অফিসার পালদেন এন. লাচুংপার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি দল গ্রিনফিল্ড পাকইয়ং বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে চাটেন হয়ে দুর্গম পথে হেঁটে লাচেন গ্রামে পৌঁছান। দলটি স্থানীয় নেতা তথা লাচেনের পিপনদের সহযোগিতায় সুষ্ঠু রেশন বিতরণের তদারকি করছে।

বর্তমানে লাচেন ফুড গুদামে ৫৫৩ কুইন্টাল চাল মজুদ করা হয়েছে। বর্ষাকালে ভূমিধস ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার মতো সমস্যার কথা মাথায় রেখেই এই পূর্বপ্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

ডি.সি.এস.ও. পালদেন এন. লাচুংপা নিশ্চিত করেছেন, পুরো বিতরণ প্রক্রিয়া দলটি সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করছে যাতে কোনও উপভোক্তা বাদ না পড়ে এবং সময়ের আগেই চাল পৌঁছে যায় নির্ধারিত গন্তব্যে।

এই উদ্যোগ দুই রাজ্যের পক্ষ থেকেই বর্ষাকালে খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।