( বৈদ্যনাথ ভট্টাচার্য )
আগরতলা, ১৩ মার্চ: ক্রাশার মেশিন মালিকরা বনদপ্তর এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নির্দেশিকা পালন না করেই বছরের পর বছর ব্যবসা করে যাচ্ছে।অভিযোগ, এই সমস্ত পাথর ভাঙ্গার মেশিন ব্যবসায়ীরা শাসকদলের ছত্রছায়ায় থেকে কোন ধরনের ভয় ছাড়া ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
ঘটনার বিবরণে জানা গিয়েছে, বাগবাসা বিধানসভা এবং কুর্তি কদম তলা বিধানসভার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় একুশটি ক্র্যসার মেসির রয়েছে। তাছাড়া, পাথর ভাঙ্গার কোয়ারি রয়েছে কম পক্ষে দেড়শটি। এই সমস্ত পাথর ভাঙ্গার কুয়ারী এবং ক্রাশার মেশিন মালিকরা বনদপ্তর এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের আরো পিত কোন নির্দেশিকা মানছে না। জেলা শাসকের অফিস থেকেও অনুমতি নিচ্ছে না বলে অভিযোগ। নিয়ম নীতি ছাড়া এই সমস্ত ক্র্যাশার মেশিন এবং পাথর কোয়ালি গড়ে উঠার কারণে বিস্তীর্ণ এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে এই অবস্থায় চলার পর গত ডিসে ম্বর মাসে বনদপ্তর নড়েচড়ে বসে।
বনমন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা উত্তর জেলা হেডকোয়ার্টার ধর্মনগর জেলাশাসক অফিসের কনফারেন্স হলে ক্র্যশার মেশিন মালিকদের সাথে এক সচেতনা মূলক বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে বাগবাসা কেন্দ্র এর বিধায়ক যাদব লাল নাথ কুর্তি কেন্দ্রের বিধায়ক ইসলাম উদ্দিন, বিজ্ঞান প্রযুক্তি এবং পরিবেশ দপ্তরের সচিব ডক্টর কে শশী কুমার রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের সদস্য সচিব বিশু কর্মকার,তৎকালীন জেলা শাসক দেবপ্রিয়বর্ধন,জেলা বনাধিকারিক সুমন মল্ল সহ পদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। দপ্তরের মন্ত্রী অনিমেষদেববর্মা এবং বনদপ্তর, পরিবেশ দপ্তর এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের পদস্থ আধিকারি করা তাদের বক্তব্যে পাথর ব্যবসা য়ীদের সরকারি নির্দেশ মেনে ব্যবসা বাণিজ্য করার জন্য পরামর্শ দেন।