নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৮ অক্টোবর৷৷ গ্যাসের সমস্যা সমাধানের আশা দেখাল খাদ্য ও জনসংভরণ দপ্তরের মন্ত্রী ভানুলাল সাহা৷ বাংলাদেশকে ব্যবহার করে পশ্চিমবঙ্গ কিংবা আসাম থেকে সিলিন্ডার আনার জন্য আইওসিকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন৷ আইওসিও বিষয়টি বিবেচনা করে মাস দুয়েকের মধ্যে পদক্ষেপ গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন৷
মঙ্গলবার রাজ্যে গ্যাসের সংকটের বিষয়ে খাদ্য ও জনসংভরণ দপ্তরের মন্ত্রী বলেন, এনিয়ে আজ দপ্তরের একটি পর্যালোচনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ তাতে বিভিন্ন বিষয় আলোচনা হয়েছে৷ মূল সমস্যা হল প্রয়োজনীয় বুলেট রাজ্যে আসছে না৷ এমনকি শিলচর প্ল্যান্টেও চাহিদা অনুযায়ী বুলেট পৌঁছাচ্ছে না৷ তার ওপর শিলচর এবং বিশালগড় প্ল্যান্ট বহু পুরানো হওয়ায় উৎপাদন ক্ষমতা অনেকটাই কমে গেছে৷ আইওসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওই প্ল্যান্টগুলি থেকে অধিক উৎপাদনের চেষ্টা করা হলে মারাত্মক বিপত্তি দেখা দিতে পারে৷ তাতে, সমস্যা আরো জটিল আকার ধারণ করবে৷ খাদ্য মন্ত্রী বলেন, রাজ্যে প্রতিদিন সিলিন্ডারের চাহিদা ১২ হাজার৷ কিন্তু ১০ হাজারের অধিক সিলিন্ডার মিলছে না৷ শুধুমাত্র আগরতলাতেই প্রতিদিন ৯ হাজার সিলিন্ডারের চাহিদা রয়েছে৷ তিনি বলেন, প্রতিনিয়ত গ্যাসের কানেকশান বাড়ছে৷ পাইপ লাইনে গ্যাস সরবরাহ করা হলেও আগরতলাতে সিলিন্ডারের চাহিদা খুব একটা কমেনি৷ রাজ্যে বর্তমানে ৭৫ দিনের ব্যাকলগ চলছে৷ অবশ্য এরজন্য তিনি শিলচর এবং বিশালগড় প্ল্যান্ট থেকে পর্যাপ্ত উৎপাদনের অভাবের কারণটি তুলে ধরেছেন৷ তিনি বলেন, শিলচর প্ল্যান্ট থেকে ধলাই পর্যন্ত ১২-১৩ ট্রাক সিলিন্ডারের প্রয়োজন৷ কিন্তু মিলছে মাত্র ৫-৬ ট্রাক সিলিন্ডার৷ বিশালগড় প্ল্যান্টেরও একই অবস্থা৷ চাহিদা অনুযায়ী জোগান দিতে পারছে না৷ ফলে, গ্যাসের সমস্যা মিটছে না৷ এদিন মন্ত্রী বলেন, বিকল্প পথ অবলম্বন করেই গ্যাসের সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব৷ সে জন্য আইওসিএলকে বাংলাদেশের উপর দিয়ে সিলিন্ডার আনার ব্যবস্থা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে৷ পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া থেকে বাংলাদেশের আশুগঞ্জ বন্দর পর্যন্ত এবং সেখান থেকে সড়কপথে আগরতলায় কিংবা আসামের গুয়াহাটির কোন একটি প্ল্যান্ট থেকে মেঘালয় দিয়ে দাউকি সীমান্ত হয়ে রাজ্যে সিলিন্ডার নিয়ে আসার প্রস্তাব আইওসিকে দেওয়া হয়েছে৷ আইওসি কর্তৃপক্ষও এই প্রস্তাব বিবেচনা করে সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে৷ তাই আগামী মাসদুয়েকের মধ্যে গ্যাসের সংকট অনেকটাই মিটবে বলে খাদ্যমন্ত্রী আশা ব্যক্ত করেছেন৷
2016-10-19
