আগরতলা, ২৯ আগস্ট: কালী মূর্তি ভাঙার পরর্বতী হিংসায় জড়িত সন্দেহে গতকাল রাতে পুলিশ পাঁচজন অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে। এরই প্রতিবাদে আজ সকাল ১১টায় অসম আগরতলা জাতীয় সড়কের রানীবাজার রাস্তা অবরোধে সামিল হয়েছেন প্রমিলা বাহিনী। অবরোধের জেরে যানচলাচল স্তব্ধ হয়ে পড়ে। চরম দূর্ভোগের শিকার হয়েছেন সাধারণ জনগণ। এদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, পশ্চিম ত্রিপুরার পুলিশ সুপার ডা. কিরণ কুমার। বিধায়ক অবরোধকারীদের সাথে কথাবার্তা বলেন। এদিন তিনি অবরোধকারীদের বলেন, আইনের চোখে সবাই সমান। পুলিশকে নিজেদের কাজ করতে দিতে হবে, কিন্তু কারোর সাথে অনিয়ম করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ আগস্ট রানিরবাজার থানাধীন কৈতরাবাড়ি এলাকার স্থানীয়রা দীর্ঘ ৩৫ বছরের পুরনো মন্দিরে কালী মূর্তির মুখ বিকৃত অবস্থায় দেখতে পান।খবর ছড়িয়ে পড়তেই গোটা রানীরবাজার এলাকা জুড়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংর্ঘষ শুরু হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে দুষ্কৃতীরা সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ওই আক্রমনে একাধিক বাড়িঘরে অগ্নি সংযোগ, লুটপাট, গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এদিকে, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক সুশান্ত চৌধুরী সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী। প্রশাসন বিএনএসএস ১৬৩ ধারা (অধুনা ১৪৪ ধারা) জারি করেছিল। প্রসাশনের তরফ থেকে সোমবার বিকাল ৩টায় শান্তি বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল।
গতকাল রাতে পুলিশ কালী মূর্তি ভাঙার পরর্বতী হিংসাত্মক ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে। এরই প্রতিবাদে আজ সকাল থেকে অসম আগরতলা জাতীয় সড়কে রানীরবাজারে রাস্তা অবরোধে সামিল হয়েছেন প্রমিলা বাহিনী।
এলাকাবাসীদের দাবি, পুলিশ নির্দোষ পাঁচজনকে পুলিশ আটক করেছে। অবিলম্বে তাদের ছাড়তে হবে। পাশাপাশি মূর্তি ভাঙ্গায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের দাবি পূরণ না করা হবে রাস্তা অবরোধ প্রত্যাহার করা হবে না। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছে স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী ও পশ্চিম ত্রিপুরার পুলিশ সুপার কিরণ কুমার কে। তাঁরা অবরোধকারীদের সাথে কথা বলেন।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার কিরণ কুমার কে জানিয়েছেন, পুলিশ তদন্তে নেমে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে। ওই ঘটনায় আরও আইনী প্রক্রিয়া বাকি রয়েছে। এরই প্রতিবাদে এলাকাবাসী পথ অবরোধ করেন। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আসে।
এদিন শ্রী চৌধুরী অবরোধকারীদের বলেন, আইন কানুন মেনেই সরকার চলে। পুলিশকে নিজেদের কাজ করতে দিতে হবে। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক (ডা.) মানিক সাহা ও প্রসাশনকে কালিমালিপ্ত করলে চলবে না। আইনের চোখে সবাই সমান, কিন্তু কারোর সাথে অনিয়ম করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। ওই আশ্বাসের ভিত্তিতে অবরোধকারীরা সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করেন।