নিজস্ব প্রতিনিধি, বিলোনিয়া , ২৪ শেষ মার্চ : পুলিশের নাকা পেরিয়ে বিলোনিয়া শহরে ঢুকছে নেশা সামগ্ৰী। পুলিশের নাকা পয়েন্ট থাকা সত্ত্বেও কি করে নেশাসামগ্ৰী শহরের উপকণ্ঠে প্রবেশ করে এই নিয়ে জনমনে চাঞ্চল্য।
লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে নিরাপত্তা ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষার তাগিদে বিলোনিয়া মহকুমার বিভিন্ন জায়গায় নাকা পয়েন্ট বসায় পুলিশ প্রশাসন। এই নাকা পয়েন্টে রয়েছে পুলিশ প্রশাসনের নজরদারি ব্যাবস্থা। তারপরেও নেশা কারবারিরা কি করে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে অনায়াসে নাকা পয়েন্ট দিয়ে নেশা সামগ্রী আনতে সক্ষম হচ্ছে প্রশ্ন চিহ্ন রয়ে যাচ্ছে ।
যেখানে অনায়াসে নেশা সামগ্রী ঢুকে যাচ্ছে সেখানে তো আগ্নেয় অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করা কোন ব্যাপারই না এমনটাই মনে করছে জনগণ। এছাড়া সাধারণ জনগণকে নাকা পয়েন্ট দিয়ে হয়রানি শিকার হতে হচ্ছে। এরফলে পুলিশের দায়িত্ব কর্তব্য নিয়ে অভিযোগ উঠছে।
রবিবার সকালে তিন লক্ষ টাকার গাঁজা উদ্ধারের ঘটনায় স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে খানে খানে এই নাকা পয়েন্ট কাদের জন্য। এই গাঁজা পুলিশ উদ্ধার করতে পারতো না যদি দূর্ঘটনার ঘটনা না ঘটতো।
বিলোনিয়া থানাধীন সাতমুড়া এলাকার ব্রিজ চৌমুহনী এলাকায় গাজা বোঝাই অল্ট্রো গাড়ীটি দুর্ঘটনা কবলে পড়ার পর গাজাগুলি উদ্ধার হয় , আনুমানিক ৫৩ কেজি গাঁজা উদ্ধার হয়, জানা যায়, বিলোনিয়া নদীর উত্তর পাড় থেকে টিআর০৩এন০৪৭৮ এই নম্বরের অল্ট্রো গাড়ি দ্রুতগতিতে আসার সময় ব্রীজ চৌমুহনী এলাকায় ইলেকট্রনিক অটো রিস্কার সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে ।
এই সংঘর্ষের পরেই অল্ট্রোর মধ্যে দুটি গাঁজার বস্তা দেখে উপস্থিত জনতার চক্ষু চরক গাছ। এরপর খবর দেওয়া হয় বিলোনিয়া থানাতে। পুলিশ গাঁজার বস্তা দুইটি উদ্ধার করে নিয়ে যায় থানাতে। এইদিকে সংঘর্ষের ফলে অটোরিকশাতে থাকা তিনজন যাত্রী আহত হয়। আহতদের নিয়ে আসা হয় বিলোনিয়া হাসপাতালে।
আহতরা বর্তমানে বিলোনিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সুত্রে জানা যায় উদ্ধার হওয়া গাঁজা রাজনগর থেকে আসে। এই দিকে অল্ট্রো গাড়ির চালককে এলাকার জনগণ আটক করলেও অদৃশ্য শক্তির কারনে ছেড়ে দেওয়া হয়। নাকা পয়েন্টে সাধারণ জনগণ যেখানে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে ।