এবার রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিতে অভিযোগ বিচারপতি সিনহার স্বামীর

কলকাতা, ২১ ডিসেম্বর (হি.স.): জেরার জন্য তলব করে সিআইডির বিরুদ্ধে মানসিক নিগ্রহের অভিযোগ। স্ত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যা বয়ান দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে বলেও দাবি কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার স্বামী প্রতাপচন্দ্র দে-র। এই অভিযোগে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখলেন তিনি। এর আগে এবিষয়ে তিনি কলকাতা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অ্যাসোসিয়েশনকেও চিঠি দিয়েছিলেন।

বিচারপতির স্বামীর অভিযোগ, যে মামলার জন্য তাঁকে তলব করা হচ্ছে, সে প্রসঙ্গে একটি প্রশ্নও করা হচ্ছে না। পরিবর্তে তাঁর স্ত্রী অর্থাৎ বিচারপতি সিনহার বিষয়ে নানা তথ্য জানার চেষ্টা করা করছে। বিচারপতি সিনহার নামে জোর করে মিথ্যা বয়ান দেওয়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ। মিথ্যা বয়ান দিলে বাড়ি, গাড়ির প্রলোভনও দেখানো হচ্ছে বলেও দাবি বিচারপতির স্বামীর। এই অভিযোগ তুলে চিঠিতে সিআইডির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন প্রতাপবাবু।

ঠিক কী কারণে বিচারপতির স্বামীকে তলব করে সিআইডি? সম্প্রতি ষাটোর্ধ্ব এক বিধবা এবং তাঁর মেয়ে অভিযোগ করেন, আইনত পৈতৃক সম্পত্তি পেলেও তাঁর দাদার পরিবার তা থেকে তাঁকে উচ্ছেদ করার চেষ্টা করছে। তাঁর অভিযোগ, মারধরও করা হয় তাঁকে। যার প্রমাণ রয়েছে সিসিটিভি ফুটেজে। তিনি আত্মীয়দের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করেন। তাঁর আত্মীয়দের হয়ে মামলা লড়ছিলেন বিচারপতির স্বামী। বৃদ্ধার দাবি, স্ত্রীর পদমর্যাদা কাজে লাগিয়ে তদন্তে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেন আইনজীবী। বৃদ্ধার অভিযোগ, বিচারপতির দপ্তরে ডেকে পাঠানো হয় তদন্তকারীকে।
তাঁকে রীতিমতো ধমক দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ বৃদ্ধার। এই অভিযোগের তদন্ত এবং নিজের পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে ওই বৃদ্ধা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। অভিযোগকারিণী সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। পরে অবশ্য এই মামলায় বাড়তি পদক্ষেপ করা যাবে না বলেই জানায় সুপ্রিম কোর্ট। ডিসেম্বরের শুরুতে আদালত জানিয়ে দেয়, অভিযোগের নিষ্পত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা যাবে। এর পরই পদক্ষেপ নেয় সিআইডি। ভবানীভবনে বিচারপতির স্বামীকে তলব করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *