নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৬ ডিসেম্বর : ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংক কর্মচারী সমিতি, ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংক অফিসার্স ইউনিয়ন ও ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংক রিটায়ার্ড স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ সংগ্রাম মঞ্চের ডাকে ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর এক বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিন গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এই যৌথ সংগ্রাম মঞ্চের ডাকে গত শুক্রবার ও আজ শনিবার ম্যানেজমেন্টের তালিবানি ভূমিকার বিরুদ্ধে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে সকাল স্তরের অফিসার ও কর্মীরা দাবীসম্বলিত প্লেকার্ড হাতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
যৌথ সংগ্রাম মঞ্চের যুগ্ম আহ্বায়ক সঞ্জয় দাস বলেন ব্যাংকের ম্যানেজমেন্টের কারনে দিন দিন ব্যাংকের লাভ নিচের দিকে যাচ্ছে। যেখানে ব্যাংকের লাভ ছিল ২০০ কোটি টাকা,সেখানে গত অর্থ বছরে লাভ মাত্র ৩ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা। আগে চেয়ারম্যান ও জেনারেল ম্যানেজার ছিল স্পন্সর ব্যাংক থেকে কিন্ত এখন চেয়ারম্যান আরো ৭ জনকে ডেপুটেশনে এনে রেখেছেন।
যাদের জন্য বছরে খরচ প্রায় ২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। যা ব্যাংকের লাভ থেকে চলে যাচ্ছে। অথচ ব্যাংকের নিজস্ব যোগ্য অফিসার অনেকেই আছেন যাদের এই তালিবানি ম্যানেজমেন্ট অকেজো করে রেখেছে।
তিনি আরো বলেন, ত্রিপুরা হাই কোর্টের রায়ের পরেও এই চেয়ারম্যান দৈনিক হাজিরা কর্মীদের নিয়মিত করার কোনো প্রয়োজন মনে করছেন না। নিয়মিতকরণ স্বাপেক্ষে দৈনিক হাজিরা বৃদ্ধিও করছেন না। অথচ দৈনিক হাজিরা কর্মীদের দিয়েই মূলত ব্যাংক সচল রয়েছে।
ভারত সরকারের সুস্পষ্ট নির্দেশ সত্বেও অফিসার ও কর্মীদের কম্পিউটার ইনক্রিমেন্ট প্রদান করছেন না। অথচ ভারতবর্ষের অন্যান্য গ্রামীণ ব্যাংকগুলো এই ইনক্রিমেন্ট প্রদান করে দিয়েছে ব্যাতিক্রম ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংক।
এছাড়াও গ্রামীণ ব্যাংকের জন্য আলাদা সার্ভার করার দাবী দীর্ঘদিনের। গ্রাহক পরিষেবার জন্য এই আলাদা সার্ভার অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। নেট না থাকার কারনে ব্রাঞ্চে গ্রাহক দীর্ঘসময় পরিষেবা পান না, এ টি এম পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হন। কিন্ত এই চেয়ারম্যান ও ডেপুটেশনে আগতদের কোনো প্রকার হেলদোল নেই।
এই প্রযুক্তির সময়ে ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংক সব দিক থেকে পিছিয়ে যাচ্ছে। গ্রাহক যেখানে দ্রুত ও আধুনিক পরিষেবা পাবেন সেখানেই চলে যাবেন। স্পন্সর ব্যাংক থেকে আগতদের অবিলম্বে নিজের ব্যাংকে ফেরত পাঠাতে হবে বলেও এদিনের বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে দাবি জানানো হয়েছে।
তাই যৌথ সংগ্রাম মঞ্চ ১১ দফা দাবীতে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে দুদিন ব্যাপী বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করেছে। শ্রী দাস জানান কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে দাবীগুলি না মানলে আরো বৃহৎ আন্দোলনের পথেই হাঁটবেন কর্মীরা। প্রয়োজনে ধর্মঘটের সিদ্ধান্তও নিতে হতে পারে বলে হুশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।