জুট মিল শ্রমিক কর্মচারীদের সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত বৃহস্পতিবার

আগরতলা, ৭ সেপ্টেম্বর ৷৷ বহু কাঠ খড় পুড়িয়ে  নিজেদের অধিকার নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে রাজ্যের জুট মিলে কর্মরত শ্রমিক কর্মচারীরা। জুটমিল শ্রমিক কর্মচারীদের পক্ষেই দেশের সর্বোচ্চ আদালত রায় দেওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে সংশ্লিষ্ট শ্রমিক কর্মচারীরা। ত্রিপুরা জুটমিলের শ্রমিক-কর্মচারী, পেনশনার, জীবিত বা মৃতার পরিবারগুলি দীর্ঘ বঞ্চনার মধ্য দিয়ে দিন যাপন করছেন। আদালতের কড়া নেড়ে সঠিক রায় পেলেও সরকার কার্যকর করছে না বলে আবারো অভিযোগ তুললো ত্রিপুরা জুট মিল যৌথ আন্দোলন কমিটি। কিন্তু কমিটির পক্ষ থেকে উচ্চ আদালত এবং শীর্ষ আদালতের রায়কে অভিনন্দন জানানো হয়েছে। আগরতলা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে কনভেনার ধনমনি সিংহ জানান, বঞ্চনার মুখ্য কারন হল- আইনগত অধিকারে প্রাপ্য বেতন-ভাতা সহ অন্যান্য ৩২ টি সরকারী অধিগৃহীত সংস্থার ন্যায় ১৯৯৬ সাল থেকে কার্যকর করছে না। জুটমিল কর্তৃপক্ষ তাদের ২০৮ নং বোর্ড সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহন করে উক্ত ন্যায্য প্রাপ্য মিটিয়ে দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের নিকট পেশ করেছে। তারপরেও, উচ্চ আদালতে জোট মিলের শ্রমিক কর্মচারীদের দায়ের করা সকল বেতন-ভাতাদি মিটিয়ে দেওয়ার জন্য বিচারপতি অজয় রাস্তোগী ২০১৮ সালে সেপ্টেম্বর মাসে রায় প্রদান করেছেন। কিন্তু রায় কার্যকর করেনি সরকার। সম্প্রতি উচ্চ আদালতে, আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলা চলাকালীন অবস্থাতে, উভয়পক্ষ মিলে একটি নিষ্ফলা স্পেশাল লিভ পিটিশন, মহামান্য জে কে মহেশ্বরী ও মহামান্য কে ভি বিশ্বনাথন বিচারপতিদের সমন্বয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের খন্ডপীঠে দাখিল করেছেন। সেই মামলা সুপ্রিম কোর্টের খন্ডপীঠ পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়েছেন। তাই উচ্চ আদালতে রায়ের অভিনন্দন জানায় ত্রিপুরা জুটমিল যৌথ আন্দোলন কমিটি। তাতে, জুটমিল শ্রমিক-কর্মচারীদের বঞ্চিত করার বদ-উদ্দেশ্য আপামর মানুষের সামনে উন্মোচিত হয়েছে এবং মুখে চুনকালী পড়েছে। কালবিলম্ব না করে জোট মিল কর্মচারীদের  প্রাপ্ত অধিকার কার্যকরী করার জন্য জুটমিল কর্তৃপক্ষ ও রাজ্য সরকারের কাছে দাবি  জানানো হয়েছে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *