বাঁকুড়া, ১ জুলাই (হি.স.) : বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে জেলা সফরে আসায় উজ্জীবিত বিজেপির কর্মীরা।শুভেন্দুর সফরে যেন অক্সিজেন পেলেন ভীত সন্ত্রস্ত কর্মীরা।পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘন্ট প্রকাশ হতেই সারা বাংলার মতোই বাঁকুড়া জেলা জুড়ে থমথমে পরিবেশ, মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সময় সেই পরিবেশ ক্রমশ উত্তপ্ত থেকে সন্ত্রস্ত হয়ে ওঠে।মনোনয়নে বাধা, প্রার্থীদের ও কর্মী সমর্থক দের মারধোর, হুমকি শুরু হয়।এই পরিস্হিতিতে বিজেপির কর্মীরা মনোনয়ন জমা দিলেও শাসানির অভিযোগ বিভিন্ন জায়গায়।ভরসা না পেয়ে অনেকেই নিজেদের গুটিয়ে নিতে শুরু করেন।গতকাল শুভেন্দু অধিকারী জেলার খাতড়া, গোড়াবাড়ী, গঙ্গাজলঘাঁটিতে নির্বাচনী সভা করেন।প্রতিটি সভাতেই জনসমাগম যে কোনও দলের কাছে ঈর্ষণীয়।
এই জনসমাগম দেখে উজ্জীবিত কর্মী থেকে প্রার্থীরা।সেই সঙ্গে শাসকদলের সন্ত্রাস মোকিবিলায় তার পদক্ষেপ কর্মীদের মনোবল তুঙ্গে উঠেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় গঙ্গাজলঘাঁটিতে শুভেন্দুর সভা ছিল।সেই সভায় যোগদানের জন্য বাঁকশোল গ্ৰামের বেশ কয়েকজন বিজেপির কর্মী উদ্যেগ নিতেই তৃনমূলে র পক্ষ থেকে শাসানি শুরু হয়।সেই শাসানি উপেক্ষা করে সভায় যোগ দিতে যাওয়ার সময় তাদের মারধোর করা হয় বলে অভিযোগ।এই ঘটনায় পাঁচজন কর্মী জখম হয়।জখম অবস্থাতেই তারা শুভেন্দুর সভায় হাজির হন।ঘটনা শুনে শুভেন্দু নিজেই জখম কর্মীদের নিয়ে থানায় হাজির হন এবং ঘটনার তদন্ত ও দোষীদের গ্ৰেফতারের দাবী জানান। শুভেন্দুর এই মনোভাব ও উদ্যোগ দেখে উজ্জীবিত বিজেপি কর্মীরা।
এবিষয়ে বিজেপি কর্মীরা একান্তে জানান, গ্ৰামবাংলা জুড়ে যে ভাবে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে তাতে যে আমরা বিচলিত তা বলার অপেক্ষা রাখে না, সাধারণ কর্মীরা ও ভয়ে কেউ পারিবারিক কথা মাথায় রেখে নিজেদের গুটিয়ে নিচ্ছিলেন, শুভেন্দুদা আসায় সবার যেন মনোবল তুঙ্গে।যদিও বিজেপির দায়িত্ব শীল কর্মীরা বলছেন আমরা বরাবরই লড়াইয়ের জন্য তৈরী।প্রচার ও চলছে জোর কদমে।রাজ্য নেতারা প্রচারে এলে তার একটা ভালো প্রভাব পড়ে।এখন ভোটের দিন সন্ত্রাস না হলে বিজেপির ভালো ফল হবে এটা নিশ্চিত।