গুয়াহাটি, ৭ এপ্রিল (হি.স.) : রাষ্ট্ৰপতি দ্ৰৌপদী মুৰ্মুর হাত দিয়ে শুভারম্ভ হলো ‘মাউন্ট কাঞ্চনজঙ্ঘা অভিযান-২০২৩’।
অসমে আজ শুক্ৰবার তাঁর সফরের দ্বিতীয় দিন কইনাধরা পাহাড়ে রাজ্য অতিথিশালায় কাঞ্চনজঙ্ঘায় অসম পৰ্বতারোহণ সংস্থা আয়োজিত এক গাম্ভীর্যপূর্ণ অনুষ্ঠানে এই অভিযানের শুভারম্ভ করেছেন রাষ্ট্রপতি। অনুষ্ঠানে অভিযানের দলপতি মানস বরুয়ার হাতে জাতীয় পতাকা, আইচ এক্স ব্যাটন এবং অভিযানের পতাকা তুলে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী৷
এই অভিযানের শুভারম্ভ করে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রদত্ত বক্তৃতায় রাষ্ট্ৰপতি দ্ৰৌপদী মুৰ্মু বলেন, প্ৰকৃতির এক অনন্য সুন্দর সৃষ্টি কাঞ্চনজঙ্ঘা। কাঞ্চনজঙ্ঘা পৰ্বতারোহণ অভিযানের প্ৰাকমুৰ্হূতে পৰ্বতারোহীদের আশীৰ্বাদ দেওয়ার সুযোগ পেয়ে নিজেকে তিনি অত্যন্ত ভাগ্যবান বলে অভিহিত করে অভিযানের সাফল্য কামনা করেন। মাউন্ট কাঞ্চনজঙ্ঘা অভিযান সফল হবেই বলে মন্তব্য করে তিনি এই সাফল্য ভবিষ্যতে অন্যান্য পৰ্বতারোহীদের প্ৰেরণা জোগাবে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন দ্রৌপদী।
এই অনুষ্ঠানে অসমের রাজ্যপাল গুলাবচাঁদ কাটারিয়া, মুখ্যমন্ত্ৰী ড. হিমন্তবিশ্ব শৰ্মা ছাড়াও রাষ্ট্ৰপতির সচিবালয় এবং অসম সরকারের বহু শীর্ষ আধিকারিক, অসম পৰ্বতারোহণ সংস্থার মাউন্ট কাঞ্চনজঙ্ঘা অভিযান-২০২৩-এর সঙ্গে জড়িত পদাধিকারীরা উপস্থিত ছিলেন৷
অনুষ্ঠানের শুরুতে এই অভিযানের ‘চিফ দ্য মিশন’-এর দায়িত্বপ্রাপ্ত মুখ্যমন্ত্ৰী হিমন্তবিশ্ব শৰ্মা রাষ্ট্ৰপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে ফুলাম গামোচা দিয়ে অভ্যর্থনা জানান৷ এর পর পৰ্বতারোহণ অভিযানের মুখ্য আহ্বায়ক সত্যেন শৰ্মা রাষ্ট্ৰপতির হাতে অভিযানের স্মারক তুলে দিয়েছেন৷ এই অভিযান উপলক্ষ্যে প্রকাশিত একটি স্মরণিকা রাষ্ট্ৰপতির হাতে তুলে দিয়েছেন অসম পৰ্বতারোহণ সংস্থার সভাপতি ডা. দেবেন্দ্ৰনাথ মহন্ত৷ উল্লেখ্য, এই অভিযানের সম্পূৰ্ণ ব্যয় অসম সরকারের ক্ৰীড়া ও যুবকল্যাণ অধিকরণ বহন করছে৷
কাঞ্চনজঙ্ঘা অভিযানকারী সাতজনের দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন রাজ্যের অন্যতম অভিজ্ঞ পৰ্বতারোহী মানস বরুয়া৷ উপ-দলনেতার পাশাপাশি চিকিৎসা বিভাগের দায়িত্বে আছেন রাজ্যের আরেক অভিজ্ঞ পৰ্বতারোহী তথা তেজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. জগদীশ বসুমতারি৷ দলের অন্য সদস্যরা যথাক্রমে উপেন চক্ৰবৰ্তী (যুগ্ম উপ-দলনেতা), কৌশিক দাস, ভাস্কর বরুয়া, জয়ন্ত নাথ এবং শেখর বরদলৈ৷ আগামী ১১ এপ্ৰিল গুয়াহাটি থেকে ট্রেনে যাত্ৰা করবেন অভিযানে অংশগ্রহণকারীরা৷ এছাড়া শিলিগুড়ি থেকে কাকড়ভিটা হয়ে স্থলপথে গাড়ি যোগে নেপালের তাপ্লেজুঙে গিয়ে পৌঁছবেন। সেখান থেকে তাঁরা হিমালয়ের ৫,২০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত বেস ক্যাম্পে ট্ৰেকিং করবেন৷ আগামী ২০ এপ্ৰিল বেস ক্যাম্পে গিয়ে পৌছবেন তাঁরা৷ বেস ক্যাম্প থেকে সামিট ক্যাম্পে চারটি ক্যাম্প অতিক্ৰম করার পর দলটি আগামী ১৩-১৮ মে-র মধ্যে শিখরে আরোহণের চূড়ান্ত প্ৰচেষ্টা চালাবেন৷

