কৈলাসহরে তিন দিনব্যাপী সাংসৃকতিক অনুষ্ঠান সম্পন্ন

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৪ মার্চ৷৷  মনমাতানো সাংসৃকতিক অনুস্টান এবং পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমাপ্ত হলো তিনদিন ব্যাপী চিত্র প্রদর্শনী উৎসব৷ উল্লেখ্য,ভারত সরকারের ক্ষেত্র প্রচার মন্ত্রক আগরতলা শাখার উদ্যোগে গত ২১শে মার্চ থেকে কৈলাসহরের ঊনকোটি কলাক্ষেত্রে শুরু হয়েছিলো তিনদিন ব্যাপী ‘‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব উপলক্ষে চিত্র প্রদর্শনী উৎসব৷ ২১শে মার্চ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেছিলেন ঊনকোটি জেলার জেলাশাসক ডা : বিশাল কুমার৷ তিন দিনব্যাপী চিত্র প্রদর্শনী ও বি.এস.এফ দ্বারা অস্ত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে পদশনী দেখতে প্রচুরসংখ্যক ছাত্র ও যুব সমাজরা ভিড় জমায়৷ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আজাদি কা অমৃত মহোৎসব ভারত সরকারের একটি কর্মসূচি৷ এপর্যন্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সমূহ এবং রাজ্য সরকারগুলির মাধ্যমে প্রায় ৬০ হাজারেরও বেশী কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে৷ বিভিন্ন মন্ত্রক এবং মন্ত্রকের অর্নভুক্ত বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে জনসাধারণের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি এবং অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে৷ পাঁচটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের পরিকল্পনা কর্মসূচি রূপায়ন করা হয়েছে৷ এগুলি হল ১) স্বাধীনতা সংগ্রাম : ইতিহাসের মাইলফলক ও অজ্ঞাত নায়কদের ওপর আলোকপাত, (২) ৭৫এর ধারনা সমূহ : যেসব ধারণা ভারত নির্মাণের সোপান গড়েছে তার উদযাপন, (৩) ৭৫টি সাফল্য : বিভিন্ন ক্ষেত্রের অগ্রগতি এবং বিবর্তনকে তুলে ধরা, ৪) ৭৫টি সংকল্প : সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যপূরণে সক্রিয় দায়বদ্ধতা, ৫) ৭৫টি কার্যক্রম :  নীতি এবং দায়বদ্ধতা সম্পূরণে যে সব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সেগুলিকে তুলে ধরা৷ আজাদি কা অমৃত মহোৎসব উদযাপনকালীন তরুণ প্রজন্ম বিশেষত সুকল এবং কলেজের ছাত্রছাত্রীদের যাতে বেশি সংখ্যায় সামিল করা যায় তার ওপরে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে৷ মূলত নব প্রজন্মের কাছে ভারতের ইতিহাস তুলে ধরা এবং দেশাত্মবোধ জাগ্রত করাই মূল লক্ষ্য৷ ২২শে মার্চ ক্ষেত্র প্রচার মন্ত্রকের আজাদীকা অমৃত মহৎসবের চিত্র প্রদর্শনীর দ্বিতীয় দিনে ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে বসে আঁকো প্রতিযোগীতা হয়েছিলো৷ তিন দিনব্যাপী আজাদীকা অমৃত মহৎসব অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক সুতপা গুহ৷ একদিকে চিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে দেশের জন্য আত্মবলিদান দেওয়া বীরদের স্মরণ করা অন্যদিকে চিত্র প্রদর্শনীর দ্বিতীয় দিনে রক্তদান শিবির এক অন্য বার্তা দিলো রাজ্যব্যাপী৷ অনুষ্ঠানের শেষ দিনে অর্থাৎ তেইশ মার্চ বৃহস্পতিবার ক্ষেত্র প্রচার ও সম্প্রচার মন্ত্রকের তরফ থেকে বসে আঁকো প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ছাত্র ছাত্রীদের হাতে শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়৷ এবং তিনদিন ব্যাপী চিত্র প্রদর্শনীতে বি.এস.এফ কর্তৃক অস্ত্র প্রদর্শনকারী বি.এস.এফ কর্মীদের হাতেও শংসাপত্র তোলে দেন ক্ষেত্র প্রচার দপ্তরের আগরতলা শাখার আধিকারিক সুদীপ্ত কর৷  তিনদিন ব্যাপী এই অনুষ্ঠানে প্রত্যেকদিন বিভিন্ন গান ও নাটক দিয়ে মঞ্চকে মাতিয়ে রেখেছিলো আগরতলার রামনগরের সামাজিক ও সাংসৃকতিক সংস্থা নীলকন্ঠ৷ তিন দিনের এই চিত্র প্রদর্শনী প্রতিদিন বিকেল তিনটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা অব্দি চললেও তেইশ মার্চ বৃহস্পতিবার চিত্র প্রদর্শনী রাত নয়টা অব্দি প্রচুর সংখ্যক ছাত্র ছাত্রী সহ সাধারণ মানুষের ভিড় ছিলো এবং রাত নয়টার পর পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়৷ শেষ দিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন  মহকুমা শাসক প্রদীপ সরকার, সহকারী মহকুমা শাসক নব কুমার জামাতিয়া,পুর পরিষদের কাউন্সিলর সিকিম সিনহা এবং ক্ষেত্র প্রচার ও সম্প্রচার মন্ত্রকের আগরতলা শাখার সুদীপ্ত কর সহ অন্যান্যরা৷ মহকুমা শাসক প্রদীপ সরকার বক্তব্য রাখতে গিয়ে ক্ষেত্র প্রচার আগরতলা শাখার আধিকারিক সুদীপ্ত করের ভূয়শী প্রশংসা করেন৷ মহকুমা শাসক আগামী দিনেও কৈলাসহরে এই ধরনের অনুষ্ঠান করার জন্য আগরতলার ক্ষেত্র প্রচার শাখাকে অনুরোধ করেন
পুরস্কার বিতরনী এবং সাংসৃকতিক অনুস্টান সহ তিন দিনের চিত্র প্রদর্শনী উৎসব সমাপ্ত হবার পর ক্ষেত্র প্রচার দপ্তরের আগরতলা শাখার আধিকারিক সুদীপ্ত কর সংবাদ প্রতিনিধিদের মুখোমুখি হয়ে জানান যে, মূলত ঊনকোটি জেলার জেলাশাসক ডঃ বিশাল কুমার এবং কৈলাসহরের মহকুমাশাসক প্রদীপ সরকারের যথেষ্ট সাহায্য সহযোগিতায় এবং কৈলাসহর প্রেসক্লাবের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফলে তিনদিন ব্যাপী চিত্র প্রদর্শনী এবং নানান ধরনের বিভিন্ন অনুস্টান শান্তি পূর্ণ ভাবে এবং সার্থক ভাবে করা গেছে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *