গুয়াহাটি, ২৩ জানুয়ারি (হি.স.) : মহান স্বাধীনতা সংগ্রামী, বিপ্লবী, ভারতাত্মা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে তাঁর ১২৭-তম জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা।
আজ সোমবার গুয়াহাটির পল্টনবাজারে সুভাষচন্দ্র বসুর পূর্ণাবয়ব মূর্তি সংলগ্ন এলাকা নেতাজিচকে অল আসাম নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু জন্মজয়ন্তী উদযাপন কমিটি আয়োজিত অনুষ্ঠানে পরাক্রম দিবস পালিত হয়েছে। ওই অনুষ্ঠানে মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীকে তাঁর জন্মবার্ষিকীতে অভিনন্দন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা বিপ্লবী নেতাকে একজন নির্ভীক জাতীয়তাবাদী বলে অভিহিত করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আইএনএ (ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি) গঠনের জন্য সারা ভারত থেকে বিপ্লবীদের একত্রিত করে তিনি ব্রিটিশরাজের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সবচেয়ে সুপরিচিত নায়কদের একজন, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে সুভাসচন্দ্র বসুর অবদান অকল্পনীয়। বসু নেতাজি নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি সারা জীবন স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছেন। ভারতকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের কবল থেকে মুক্ত করতে পরিচালিত স্বাধীনতা সংগ্রামকে গোটা দেশের পাশাপাশি বিদেশে প্রসারিত করেছিলেন নেতাজি। এই মহান নেতাকে কেবল বাঙালির সম্পদ বললে চলবে না, তিনি গোটা দেশের সম্পদ, দেশের নেতা।
প্রসঙ্গক্রমে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের কিংবদন্তি নেতার অসাধারণ অবদানের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার নেতাজির জন্মদিনকে পরাক্রম দিবস হিসাবে ঘোষণা করেছিল। পরাক্রম দিবসের লক্ষ্য হলো, ভারতীয় নাগরিকদের, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে দেশপ্রেমের বোধ জাগিয়ে তোলাৰ পাশাপাশি প্রতিকূলতার সম্মুখীন হলে সাহসিকতার সঙ্গে তাঁদের কাজ করতে অনুপ্রাণিত করা।
ড. শর্মা বলেন, নেতাজির দেশপ্ৰেম, জাতীয়তাবাদ এবং রাষ্ট্ৰের আদৰ্শই আমাদের অস্তিত্বের প্ৰতি মুহূৰ্ত রাষ্ট্ৰ নিৰ্মাণ প্ৰক্ৰিয়ায় উৎসৰ্গিত করতে সৰ্বকালের জন্য অনুপ্ৰাণিত করে আসছে৷ আজকের এই বিশেষ দিনে দেশমাতৃকার মহান সন্তানকে শ্ৰদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি৷
আজকের অনুষ্ঠানে বহুজনের সঙ্গে ছিলেন অসমের দুই ক্যাবিনেটমন্ত্রী পীযূষ হাজরিকা ও অশোক সিংঘল, গুয়াহাটির বিধায়ক সিদ্ধাৰ্থ ভট্টাচাৰ্য, প্ৰাক্তন সাংসদ রমেন ডেকা, গুয়াহাটির মেয়র মৃগেন শরণিয়া, কাৰ্বি আংলং স্বশাসিত পরিষদের মুখ্য কাৰ্যনির্বাহী সদস্য তুলিরাম রংহাং, প্রাক্তন বিধায়ক (পদ্মশ্রী) অজয় দত্ত।