দার্জিলিং, ১৩ ডিসেম্বর (হি.স.) : কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব এবং আরএসএস সমন্বয় বৈঠক হবে বৃহস্পতিবার। সঙ্ঘের রাজ্য দফতর কেশব-ভবনে হবে এই বৈঠক। বিশেষ সূত্রে খবর, এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন সঙ্ঘের কেন্দ্রীয় নেতা অরুণ কুমার। অতি গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠকে রাজ্যের প্রথম সারির বিজেপি নেতারা ডাক পেলেও মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত আমন্ত্রণ জানানো হয়নি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। প্রশ্ন উঠেছে, এটা কি তবে দিলীপ ঘোষকে আক্রমণ করে মন্তব্যের জের?
গত বিধানসভা নির্বাচনের পরে রাজ্যে সঙ্ঘের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপস্থিতিতে এই ধরণের বৈঠক হচ্ছে এই প্রথম। এই ধরণের সমন্বয় বৈঠকে সাধারণত ডাকা হয় সঙ্ঘের প্রধান শাখাগুলির রাজ্য নেতৃত্ব এবং রাজ্য বিজেপি’র গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের।
আর তা উপলক্ষ্যেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বঙ্গ বিজেপি’র সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিজেপি সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তীকে। তবে সূত্রের খবর, মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত আমন্ত্রণ পাননি শুভেন্দুবাবু।
সোমবার শুভেন্দু অধিকারী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্র হাজরায় গিয়ে সভা করার সময় নাম না করে আক্রমণ করেছিলেন দিলীপ ঘোষকে। বলেছিলেন, ‘আমি বিরোধী দলনেতা। গিমিকে বিশ্বাস করি না… মর্নিং ওয়াক করতে গিয়ে মিডিয়াকে বাইট দিই না’। মঙ্গলবার এই প্রসঙ্গে পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় শুভেন্দুবাবুর নাম না করে দিলীপ ঘোষ পাল্টা বলেছেন, ‘সকালে উঠে মর্নিং ওয়াক করতে দম লাগে’।
উল্লেখ্য, প্রাতঃভ্রমণে গিয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দেন দিলীপ ঘোষ। নাম না নিলেও সে কথা বেশ বোঝা গিয়েছিল। শুভেন্দু’র এই তির্যক আক্রমণ ভালো ভাবে নেয়নি সঙ্ঘ পরিবার। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল। তাই কি এখনও আমন্ত্রণ পাননি শিশির পুত্র? এখন দেখার পরে এই বৈঠকে তিনি আদৌ ডাক পান কি না।