আগরতলা, ১০ ডিসেম্বর (হি.স.) : আড়াই মাসের অধিক সময় বাকি থাকতেই ত্রিপুরায় নির্বাচনী লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে বিজেপি। সেই লক্ষ্যে নির্বাচনী প্রচার এবং পরিচালন কমিটি ঘোষণা করেছে পদ্ম শিবির। নির্বাচনী প্রচার কমিটির চেয়ারম্যান হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা এবং পরিচালন কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়েছেন দলের প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য। এছাড়া বিভিন্ন উপ-সমিতিও গঠন করে ফেলেছে বিজেপি। স্বাভাবিকভাবেই আজকের এই পদক্ষেপে ত্রিপুরায় নির্বাচনী ময়দানে শাসক শিবির কিছুটা এগিয়ে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ত্রিপুরায় ২০১৮ সালে বিধানসভা নির্বাচনে ২৫ বছরের বাম দুর্গ তছনছ করে শাসকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিল বিজেপি। শাসকের মসনদ দখলের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তনের লক্ষ্যে পথ চলা শুরু করেছিল পদ্ম শিবির। তবে, গত সাড়ে চার বছরের অধিক সময়ে মানুষের প্রত্যাশা পূরণে কতটা সক্ষম হয়েছে ডাবল ইঞ্জিনের সরকার তার পরিণাম কিছুদিনের মধ্যেই মিলবে। তাই সময় থাকতেই লড়াইয়ের ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়া উচিত বলে মনে করেছে বিজেপি।
বিজেপির নির্বাচনী প্রচার কমিটিতে রয়েছেন চেয়ারম্যান পদে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর মানিক সাহা, উপ-মুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা, প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক, রাজ্যের শিক্ষা ও আইন মন্ত্রী রতনলাল নাথ, সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা, শ্রমমন্ত্রী ভগবান দাস, বিধানসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণী রায়, কৃষি মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায় এবং কারা মন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল।
এদিকে বিজেপির নির্বাচন পরিচালন কমিটির চেয়ারম্যান পদে প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য এবং আহ্বায়ক পদে রয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ। এছাড়া সহ-আহ্বায়কের দায়িত্বে রয়েছেন মন্ত্রী রামপদ জমাতিয়া, প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক টিংকু রায়, সাধারণ সম্পাদিকা পাপিয়া দত্ত, সাধারণ সম্পাদক কিশোর বর্মণ, অমিত রক্ষিত এবং বিধায়ক সুধাংশু দাস।
এদিন বিজেপি ২৮টি উপ-সমিতিও গঠন করেছে। ওই কমিটিগুলিতে শীর্ষ স্তরের নেতাদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।