বাঘ ঢুকতে পারে গ্রামে, শীতের শুরুতে মাইকে সতর্কবার্তা বন দফতরের

কুলতলি, ৯ নভেম্বর (হি. স.) : শীতের শুরুতেই সুন্দরবনের জঙ্গল লাগোয়া বাসিন্দাদের সতর্ক করে বার্তা দিল বনদফতর । বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির বিস্তীর্ণ এলাকায় বন দফতরের পক্ষ থেকে মাইকে প্রচার করা হয় জঙ্গল ছেড়ে এখন লোকালয়েও চলে আসতে পারে বাঘ৷ ভাটার সময় নদী সাঁতরে গ্রামে ঢুকে শিকার করতে পারে গৃহস্থের গরু ও ছাগল৷তাই জঙ্গল লাগোয়া বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে৷

শীতের সময় সুন্দরবনের নদীগুলির জল যেমন শান্ত থাকে, তেমনি ভাটার সময় অনেকটাই জেগে ওঠে চর৷ বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, সাধারণত শীতকালেই বাঘিনীরা বাচ্চার জন্ম দেয়৷ এবং সন্তান জন্ম দেওয়া বাঘিনীরা একদিকে যেমন ক্ষুধার্ত থাকে, তেমনি হয়ে ওঠে হিংস্র৷ ফলে এই সময় জঙ্গল লাগোয়া নদী ও খাঁড়িতে মাছ ধরতে এলে তাদের আক্রমণের মুখে পড়ার ষোলআনা আশঙ্কা থাকে। এই অবস্থায় বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির বিস্তীর্ণ এলাকায় বনদফতরের পক্ষ থেকে সচেতন থাকার বার্তাও দেওয়া হয়৷ দক্ষিণ ২৪ পরগনার বন দফতরের পক্ষ থেকে রীতিমতো মাইকে প্রচার করা হয়েছে বিভিন্ন এলাকায়৷ বলা হয়েছে লোকালয়ে বন্যপ্রাণীর দেখা মিললেই বনদফতরে তা সঙ্গে সঙ্গে জানাতে৷
বাঘ ও মানুষের সংঘাত এড়াতে সচেতনতার বার্তা যেমন প্রচার করা হয়েছে, তেমনি বাঘরোল তথা ফিশ ক্যাট সম্বন্ধেও সচেতন করানো হয়৷ ঝড়ের দাপট থেকে রক্ষা পেতে ম্যানগ্রোভ বাঁচানোর আবেদনও করা হয়েছে স্থানীয়দের কাছে৷ আয়লা-আমফান-যশের মত সুপার সাইক্লোনের ক্ষয়ক্ষতি তুলে ধরে সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ অরণ্য কতটা কাজের তাও সবিস্তারে প্রচার করা হয়৷
প্রসঙ্গত, গতবছর শীতের মরসুমে কুলতলি সহ বেশ কিছু এলাকায় বাঘ সহ হিংস্র বন্যপ্রাণী ঢুকে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল৷ বন্যপ্রাণ ও মানুষের সংঘাত এড়াতে এবার তাই আগেভাগেই সচেতন থাকার বার্তা দিচ্ছে বনদফতর৷