“পথপ্রদর্শক হিসাবে ডঃ এপিজে আব্দুল কালামের কথা স্মরণ করা দরকার”অশোক সেনগুপ্ত

কোট্টায়াম (কেরল), ২৯ অক্টোবর (হি. স.) : “আমি আপনাদের আমাদের জাতির একজন মহান নেতা, তরুণদের সত্যিকারের নায়ক, আমাদের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি বিজ্ঞানী ডঃ এপিজে আব্দুল কালামের কথা মনে করিয়ে দিতে চাই, যা এই মুহূর্তে আপনাদের জন্য পথপ্রদর্শক হিসাবে কাজ করতে সক্ষম হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।”
শনিবার কেরলের কোট্টায়ামে ঐতিহ্যপূর্ণ সিএমএস কলেজে ‘গ্র্যাজুয়েশন সেরিমনি’-তে (২০২২) এ কথা বললেন ওয়েষ্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অফ টিচার্স ট্রেনিং, এডুকেশন, প্ল্যানিং অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের উপাচার্য তথা ডায়মণ্ড হারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ডঃ সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ডঃ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ভাষণে বলেন, আব্দুল কালাম বলেছিলেন, শিক্ষার্থীদের সাহসে বলীয়ান হতে হবে। ভিন্ন চিন্তা করার সাহস, উদ্ভাবনের সাহস, অসম্ভবকে আবিষ্কার করার সাহস, জ্ঞান ভাগ করার সাহস, অন্যের কষ্ট দূর করার সাহস, নাগালের কাছে পৌঁছানোর সাহস, সমস্যা মোকাবেলা এবং সফল করার সাহস। আমার প্রিয় ভবিষ্যত বিজয়ীরা, এই অনন্য গুণাবলী আপনার ভিতরে রয়েছে। শুধুমাত্র আপনার তাদের লালনপালন করতে হবে।

আপনাদের চরিত্র, উদ্ভাবন এবং সমাজসেবার মাধ্যমে এই দেশের অতীত গৌরব পুনরুজ্জীবিত করার এবং পুনরুদ্ধারের সময় এসেছে। আমি আপনাদের প্রত্যেককে সমাজ ও মানবতার কল্যাণে আপনার জ্ঞানের পূর্ণ ব্যবহার করার অঙ্গীকার করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে আপনার ভবিষ্যৎ সাফল্য শুধুমাত্র সিএমএস কলেজে আপনি যে অসামান্য শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ পেয়েছেন তা দ্বারা পরিমাপ করা হবে না। বরং সেই মূল্যবোধ দ্বারাও যা আপনি আপনার কাজকে সংজ্ঞায়িত করবেন এবং এর প্রতিষ্ঠাতা ফাদারদের নীতির প্রতি আপনার আনুগত্য দেখাবেন।

আনন্দের সাথে উল্লেখ করি যে, প্রথম দিকে প্রতি শিক্ষার্থী প্রতি মাসে ফি ছিল মাত্র এক টাকা। এবং আশ্চর্যজনক ঘটনা হল যে ১৮৭০ সালে ছাত্র সংখ্যা ছিল ১২৯, এটি সত্যি প্রশংসনীয় ছিল! ১৮৮০ সালে এই কলেজে গিয়েছিলেন ত্রাভাঙ্কোরের মহারাজা বিশাখাম থিরুনাল। তিনি বলেছিলেন, “রাষ্ট্র প্রজাদের শিক্ষিত করার মানবিক কাজ হাতে নেওয়ার অনেক আগে, খ্রিস্টান মিশনারিরা দেশে জ্ঞানের আলোকবর্তিকা তুলেছিল।” আজ আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে তাঁর সেই উক্তিকে স্মরণ করতে চাই।”
এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিতদের মধ্যে ছিলেন রেভারেন্ড চেরিয়ান থমাস, প্রতিষ্ঠানের ভাইস-প্রিন্সিপাল ড. রেনু জ্যাকব, মধ্য কেরালা ডায়োসিসের মাননীয় বিশপ রেভারেন্ড ডক্টর মালয়িল সাবু কোশি চেরিয়ান, অধ্যক্ষ ড. ভার্গিজ সি. জোশুয়ার, আইকিউএসি-র অধিকর্তা ডঃ জোজি জন পানিকর, সিএমএসকলেজের পরিচালনমণ্ডলির সদস্যবৃন্দ। এ ছাড়াও ছিলেন স্নাতকোত্তর, পিএইচ ডি ডিগ্রি ও ডিপ্লোমা প্রাপক, পড়ুয়া ও কর্মীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *