কেন্দ্রীয় সরকারের একজন প্রতিনিধিকেও আমন্ত্রণ জানানো উচিত ছিল, দাবি বিজেপি-র

কলকাতা, ১ সেপ্টেম্বর (হি. স.) : বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা পুজোর শোভাযাত্রায় কেন্দ্রীয় সরকারের একজন প্রতিনিধিকেও আমন্ত্রণ জানানো উচিত ছিল বলে দাবি রলেন বিজেপি-র রাজ্য সহ সভাপতি রথীন্দ্র বসু।

তিনি লিখেছেন, “একটা জঘন্য রুচিহীন সংস্কৃতিহীন দল তৃণমূল কংগ্রেস। মহরমের জন্য দুর্গাপূজার বিসর্জন বন্ধ করার চেষ্টা করা এই দলটি এখন কলকাতার দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ তকমা দেওয়ার জন্য ইউনেস্কোর কৃতিত্বকে নিজেদের বলে দাবি করছে।

যেখানে সমস্ত নথি বলছে যে এই কাজের জন্য ২০১৮ সাল থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় আপ্রাণ চেষ্টা করছে এবং ২০২০ সালে এর আবেদন পত্র পাঠানো হয় ইউনেস্কোতে। কিন্তু বারংবার হিন্দুদের দেবদেবীদের ভুল নাম উচ্চারণ করা কিংবা ভুল মন্ত্র পাঠ করা তৃণমূল কংগ্রেস সরকারিভাবে একবারও মনে করল না যে নিজেদের ক্রেডিট নেওয়ার অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় সরকারের একজন প্রতিনিধিকেও আমন্ত্রণ জানানো উচিত। এতটা নির্লজ্জ, অসভ্য এবং শয়তান দল হয়তো এই পৃথিবীতে একটাও নেই।

তৃণমূল সরকার শুধুমাত্র হিন্দু ধর্মকে অপমান করার কাজই করে।

১. মহরম এর জন্য দুর্গাপুজোর বিসর্জন বন্ধের চেষ্টা হয়েছিল।

২. জায়গায় জায়গায় হিন্দু ধর্মকে অপমান করার জন্য মা দুর্গার জায়গায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মূর্তি বানিয়ে পূজা করার চেষ্টা করা হয়।।

৩. গতবছর এক জায়গায় দুর্গা পূজার প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছিল জুতো দিয়ে। সরকার এবং প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেই নি।

৪. বিধানসভা নির্বাচনের সময় ভোট পাওয়ার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পায়ে জুতো পড়ে মঞ্চ থেকে ভুল চণ্ডীপাঠ করেছিলেন। জুতো পরে চণ্ডীপাঠ করা পাপ এবং ভুল চণ্ডীপাঠ করা মহাপাপ।

৫. কিছুদিন আগে তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র সমস্ত পুজো থেকে পদ্মফুল নিষিদ্ধ করার কথা ঘোষণা করে। মা দুর্গার পূজা পদ্মফুল ছাড়া হয় না। তিনি পদ্মফুল ছিঁড়ে মাটিতে ফেলে দেন।“