Road:রইস্যাবাড়ি যাওয়ার রাস্তা বেহাল অবস্থায়, হেলদোল নেই কর্তৃপক্ষের

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১০ জুলাই৷৷ ধলাই জেলার গন্ডাছড়া মহকুমার রইস্যাবাড়ি যাওয়ার রাস্তাটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে৷ এই রাস্তাটিকে কামধেনু হিসেবে ব্যবহার করছে একাংশের শাসক দলীয় নেতা এবং ঠিকাদাররা৷ সংস্কারের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে৷ অথচ রাস্তাটি সঠিকভাবে সংস্কার করা হচ্ছে না৷ এ বিষয়ে এলাকাবাসী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন৷ গন্ডাছড়া মহকুমা অন্তর্গত রইস্যাবাড়ি রাস্তা দীর্ঘ ৫   বছর ধরে বেহাল দশায় পড়ে রয়েছে৷   এলাকাবাসীরা জানায় এই রাস্তা দিয়ে সমস্ত এলাকাবাসী চলাচল করেন৷ এই রাস্তা দিয়ে রইস্যাবাড়ি ব্লকের কর্মকর্তা ও অফিসের কর্মকর্তা সহ শিক্ষক কর্মচারীরা যাতায়াত করেন৷ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে এই রাস্তা দিয়েই রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়৷ রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে থাকায় জটিল সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে৷ প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং স্থানীয় নেতারা এসব বিষয়ে সম্পূর্ণভাবে অবগত থাকা সত্ত্বেও রাস্তাটির সংস্কারের জন্য কোন উদ্যোগ গ্রহণ করছেন না৷ তাতে স্থানীয় জনগণের মধ্যে ক্ষোভ ক্রমশ বাড়ছে৷ এলাকাবাসী  জানায় এই রাস্তা খুবই ধীর গতিতে নিম্ন মানের ইট, বালু দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে  গন্ডাছড়া মহকুমার অন্তর্গত পি ডব্লিউ ডি দপ্তরের কোন হেলদোল নেই৷ রইস্যাবাড়ি  ব্লকের কর্মকর্তা, শিক্ষক হইতে সকল কর্মচারী এই রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করে৷ কিন্তু এই রাস্তা সংস্কারের ব্যাপারে কথা জিজ্ঞেস করলে স্থানীয় নেতা এবং প্রশাসনের কর্মকর্তারা বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন৷ এলাকাবাসী আর জানায় ,এই রাস্তা নির্মাণের ক্ষেত্রে ব্যাপক দূর্নীতি হচ্ছে৷  তারা  জানায় বর্তমান শাসক দল ২০১৮ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে  প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এই রাস্তা ভালোভাবে নির্মাণ করে দেওয়া হবে৷ক্ষমতায় এসে এখন বর্তমান শাসক দলের নেতা বাবুদের কোন হেলদোল নেই৷ এলাকাবাসীরা জানায় রাস্তা সংস্কারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারের সঙ্গে  কয়েকজন শাসক দলের নেতা বাবুরা এই দূর্নীতির সঙ্গে জড়িত রয়েছে৷ বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহার দৃষ্টি আকর্ষণ করার দরকার বলে জানায় এলাকাবাসীরা৷  এই রাস্তার অবস্থা এখন কৃষি জমির মত৷ এখন দেখার বিষয় ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাস্তাটির সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা হয় কিনা৷  অবিলম্বে রাস্তাটি সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা না হলে এলাকাবাসী বৃহত্তর আন্দোলনে শামিল হবেন বলে জানিয়েছেন৷