নিজস্ব প্রতিনিধি, চুড়াইবাড়ি, ১৩ মে৷৷ পাঁচ সন্তানের পিতা কতৃক অন্তঃসত্ত্বা সতেরো বর্ষীয়া এক নাবালিকা৷ থানায় মামলা৷ অভিযুক্ত মনসুর আলি নামের ব্যাক্তি পলাতক৷এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে উওর ত্রিপুরা জেলার পানিসাগর থানাধীন রৌয়া এলাকায়৷
ঘটনার বিবরনে জানা যায়,পানিসার থানাধীন রৌয়া গ্রামের চল্লিশ বর্ষীয়া মনসুর আলি পেষায় পাম্প অপারেটর দীর্ঘদিন যাবৎ সতেরো বর্ষীয়া নাবালিকা মেয়ের সাথে বলপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করে আসছিল বলে অভিযোগ৷যদিও নাবালিকা মেয়েটি লজ্জা এবং ভয়ে সবকিছু মুখ বুজে সয্য করে আসছিল৷মেয়েটির এই দূর্ভলতার সুযোগ নিয়ে মনসুর যখন তখন মেয়েটির উপর পাশবিক লালশা চরিতার্থ করত বলেও অভিযোগ৷বিগত অগ্রায়ন মাসে নাবালিকা কন্যাটির বাবা অসুস্থ হওয়াতে চিকিৎসা জনিত কারনে প্রায় এক সপ্তাহ কাল পানিসাগর হাসপাতালে চিকিৎসাদিন থাকার ফলে বাড়িতে অভিবাবক শূন্যাতার সুযোগ নিয়ে মনসুর পর পর তিন দিন মেয়েটির সাথে শারিরীক সম্পর্কে লিপ্ত হয় বলে অভিযোগ৷এরই ফলশ্রুতিতে নাবালিকা কন্যাটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে৷যদিও নবালিকা কন্যাটি জানায়,এই ঘটনা কাউকে না বলতে তাকে ভয়ভীতি দেখায় ঐ অভিযুক্ত৷ভয়ে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে নাবালিকা কন্যাটি সব কিছু গোপন করে যায়৷তবে কিছু দিন যেতে না যেতেই নাবালিকা কন্যাটির শারিরীক পরিবর্তন ঘটতে দেখে পরিবারের লোকজনদের সন্ধেহ হয়৷ তারপর তাকে জিজ্ঞেস করলে বেরিয়ে আসে আসল রহস্য৷নাবালিকা মেয়েটির কথা মতো ঘটনা চাউর হতেই এলাকায় সালিশি সভার মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংসা করে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালায় ঐ অভিযুক্ত৷
যদিও নাবালিকা ও তার পরিবারের লোকজন তা নাসাৎ করে দেয়৷পরবর্তীতে নগদ এক লক্ষ টাকা দিয়ে বিষয়টি মিট মাট করার চেষ্টা করে ব্যার্থ হলে অভিযুক্ত বাড়ি থেকে গা ঢাকা দেয়৷ অবশেষে নাবালিকা কন্যার মা শুক্রবার দুপুরে পানিসাগর থানায় অভিযুক্ত মনসুরের বিরুদ্ধে লিখিত মামলা দায়ের করেন৷ পুলিশ জানিয়েছে, খুব শীঘ্রই অভিযুক্তকে জালে তুলা হবে৷এদিকে এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে,অভিযুক্ত মনসুরের তিনটি ছেলে এবং দুটি মেয়ে সন্তান রয়েছে৷