নিজস্ব প্রতিনিধি, কদমতলা, ৪ মার্চ৷৷ অবৈধ জ্বালানি তেলের গোডাউনে আগুন৷ অল্পেতে রক্ষা গোটা বাজার৷ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় লক্ষাধিক টাকা৷ স্থানীয় থানার বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ৷
ঘটনা উত্তর জেলার কদমতলা থানার নাকের ডগা সংলগ্ণ কদমতলা ট্রাফিক পয়েন্টে৷ দমকল কর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকেল তিনটে নাগাদ কদমতলা থানা থেকে মাত্র কুড়ি মিটার দূরে অবস্থিত কদমতলা ট্রাফিক পয়েন্ট সংলগ্ণ বাজারে একটি অবৈধ জ্বালানি তেলের গোডাউনে আচমকাই আগুন লেগে যায়৷সানীয় পান-সিগারেট বিক্রেতা অজয় নাথ পিতা নারায়ন চন্দ্র নাথের অবৈধভাবে মজুদ পেট্রোল ডিজেল ও মবিলের গোডাউনে আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পায় স্থানীয় অন্যান্য দোকানিরা৷ তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় প্রেমতলা দমকল অফিসে৷ যদিও কদমতলা বাজারের পর কদমতলা ট্রাফিক পয়েন্টে বাজারটি জনবহুল বলে পরিচিত সেক্ষেত্রে পথচলতি জনগণ ও সকল দোকানিরা মিলিত ভাবে আগুন কিছুটা আয়ত্তে আনলে পরবর্তীতে দমকল কর্মীরা অকুস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন৷পান-সিগারেটের দোকান মালিক অজয় নাথ ক্যামেরার সামনে মুখ না খুললেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় লক্ষাধিক টাকা বলে জানিয়েছেন৷
এদিকে স্থানীয় দোকানিদের অভিযোগ, দীর্ঘ বছর যাবৎ কদমতলা থানা থেকে মাত্র কুড়ি মিটার দূরে এভাবে অবৈধ তেলের সাম্রাজ্য গড়ে তুললেও কদমতলা থানার পুলিশ আজ পর্যন্ত সেই অবৈধ তেল বাণিজ্যের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি৷ বরংচ স্থানীয় দোকানিরা ট্রাফিক পয়েন্ট সংলগ্ণ জনবহুল বাজারে এভাবে তেলের বাণিজ্য ও গোডাউন হওয়াতে যেকোনো সময় অগ্ণিসংযোগের ভয়াবহতা হতে পারে সেক্ষেত্রে কদমতলা থানায় অভিযোগ জানখলেও পুলিশ তাতে কোনো কর্ণপাত করেনি৷ উপরন্তু এই অবৈধ তেল বাণিজ্যকে আড়াল করে গেছে কদমতলা থানার পুলিশ৷তাই শুক্রবার বিকেলে অগ্ণিসংযোগের পর স্থানীয় দোকানিরা অভিযোগ করে বলেন,যদি সানীয় থানার পুলিশ কদমতলা বাজার এলাকার সকল অবৈধ জ্বালানি তেলের কালোবাজারি বন্ধ না করে তাহলে একত্রিত ভাবে মহকুমা ও জেলা পুলিশ আধিকারিকের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হবেন৷অপরদিকে দমকল কর্মীদের প্রাথমিক ধারণা, অবৈধভাবে মজুদ জ্বালানি তেল থেকেই এই অগ্ণিকাণ্ডের সূত্রপাত৷

